সাকিবকে প্রস্তাব দেওয়া সেই জুয়াড়ি দুই বছর নিষিদ্ধ!
হঠাৎ সবখানে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে, দীপক আগারওয়াল। সঙ্গে আরেকটি নাম, সাকিব আল হাসান। এই জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ (এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা) হন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার।
দীপক আগারওয়াল নামের একজনকে নিষিদ্ধ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আগারওয়ালকে দুই বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে আইসিসি।
দীপক আগারওয়াল নামের এক ব্যক্তি আইসিসির তালিকাভুক্ত জুয়াড়ি। কিন্তু আইসিসি নিষিদ্ধ করেছে টি-১০ টুর্নামেন্টের ফ্রাঞ্চাইজি সিন্ধির মালিক আগারওয়ালকে। সিন্ধির মালিক আগারওয়াল ও জুয়াড়ি আগারওয়াল একই ব্যক্তি কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ বিষয়টি পরিস্কার করেনি আইসিসি।
জুয়াড়িকে নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার আইসিসির নেই বলেই সংস্থাটির পক্ষে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে বলা সম্ভব নয় যে, এই আগারওয়াল ও সাকিবকে প্রস্তাব দেওয়া জুয়াড়ি একই ব্যক্তি কিনা।
আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী আইন ভঙ্গের বিষয়টি মেনে নেওয়ার পর ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় টি-১০ টুর্নামেন্টের ফ্রাঞ্চাইজি সিন্ধির মালিক আগারওয়ালকে। ওই ছয় মাসসহ তাকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
টি-১০ টুর্নামেন্টের ফ্রাঞ্চাইজি সিন্ধির মালিকদের একজন দীপক আগারওয়াল শৃঙ্খলা আইনের অনুচ্ছেদ ২.৪.৭ ধারা ভঙ্গ করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আইসিসির তদন্তকে বাধা দেওয়া বা বিলম্বিত করা, তদন্তের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক তথ্য গোপন করা, তদন্তে হস্তক্ষেপ করা বা নথি ধ্বংস করেছেন।
এ বিষয়ে আইসিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যালেক্স মার্শাল বলেছেন, 'অনেক উদাহরণ আছে যে মি. আগারওয়াল আমাদের তদন্তকে বাধা ও বিলম্বিত করার চেষ্টা করেছেন। তবে এটাই একমাত্র ঘটনা ছিল না। যদিও তিনি আইসিসি দুর্নীতি দমন কোডের লঙ্ঘনের অভিযোগ স্বীকার করেছেন এবং অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের জড়িত বেশ কয়েকটি তদন্তের ক্ষেত্রে এসিইউতে যথেষ্ট সহায়তা প্রদান করেছেন। এই সহযোগিতা তার শাস্তির ওপরেও প্রভাব ফেলেছে।'