সাকিবের শাস্তি প্রত্যাহারে বিসিবি সভাপতি বরাবর মোহামেডানের আবেদন
ম্যাচ চলাকালীন স্টাম্পে লাথি মারা, স্টাম্প তুলে আছাড় মারা ও অন ফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় শাস্তির খড়্গে পড়েছেন সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ ও ৫ লাখ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)।
সাকিবের এই শাস্তি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছে ঐতিহব্যবাহী ক্লাবটি। ইতোমধ্যে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বরাবর আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে মোহামেডান। বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন সিসিডিএমের সদস্য সচিব আলী হোসেন।
চিঠিতে আর্থিক জরিমানা বহাল রেখে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন করেছে মোহামেডান। চিঠি নিয়ে আলী হোসেন বলেন, 'কিছুক্ষণ আগে আমরা চিঠিটা পেয়েছি। আমাদের কাছে চিঠি পাঠালেও এটা সিসিডিএম বরাবর দেওয়া হয়নি। মোহামেডান কর্তৃপক্ষ বিসিবি সভাপতি বরাবর আবেদন করেছে। তাই এটা আর আমাদের হাতে নেই। এটা এখন বিসিবির সিদ্ধান্ত। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।'
অনাকাঙিক্ষত ঘটনায় মোহামেডান অধিনায়ক 'জনাব সাকিব আল হাসান গভীরভাবে অনুতপ্ত' উল্লেখ করে বিসিবি সভাপতিকে দেওয়া চিঠিতে মোহামেডানের ডাইরেক্টর ইন-চার্জ এফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি লিখেছেন, 'বিসিবির খেলোয়াড় শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে সাকিব আল হাসানের ওপর আনিত শাস্তির অর্থদন্ড বহাল রেখে ৩ ম্যাচ খেলা থেকে বিরতি থাকার বিষয়টি প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।'
চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, 'বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টি লিগে বাকি খেলাগুলো চলাকালীন সময়ে সাকিব আল হাসানের এরূপ ঘটনার ন্যূনতম পুনরাবৃত্তি হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে (স্থগিত নিষেধাজ্ঞা) তার তার শাস্তি বহাল থাকবে।'
আবেদনের বিষয়ে মোহামেডানের ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান বলেন, 'সাকিবের শাস্তি কমানোর বিষয়টা নিয়ে আমরা আপিল করেছি। গতকাল রাতে আমরা মেইল করেছি। সিদ্ধান্ত পেতে দেরি হয়েছে। এরপর আমাদের ক্লাব কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিই। কাল রাতে মেইল করেছিলাম। আজ সিসিডিএমের কাছে সরাসরিও চিঠি দিয়েছি।'
শুক্রবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে খেলা চলাকালীন আম্পায়ারের সামনেই স্টাম্প তুলে আছাড় মারেন সাকিব। এরআগেই অবশ্য মেজাজ হারান মোহামেডান অধিনায়ক। একটি আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় তেড়ে যান সাকিব। লাথি মেরে ভেঙে দেন তিনি। আম্পায়ারের সঙ্গে অশালীন ভাষা ও অশোভন আচরণ করতে থাকেন তিনি।