হেরেও ঝুলে রইলো শান্তদের ভাগ্য
জিতলেও প্লে-অফ নিশ্চিত হতো না। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের চেয়ে এগিয়ে থাকা যেত। পরের ম্যাচে ফরচুন বরিশাল হারলেই শেষ চারের টিকেট পেয়ে যেত মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। কিন্তু এমন ম্যাচে এসে খাপছাড়া পারফরম্যান্স করতে দেখা গেল নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। ব্যাটে-বলে শাসন করে দারুণ এক জয় তুলে নিলো উড়তে থাকা গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহীকে ৩৬ রানে হারিয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল। গ্রুপ পর্বের ৮ ম্যাচে ৭টিতেই জয় পেল প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করা দলটি। হারলেও প্লে-অফ ভাগ্য ঝুলে রইলো রাজশাহীর। প্লে-অফ খেলার কিছুটা আশা টিকে আছে তাদের।
দিনের পরের ম্যাচে ফরচুন বরিশাল বড় ব্যবধানে হারলে শেষ চারে উঠবে রাজশাহী। তবে বরিশাল জিতলে তারাই প্লে-অফের টিকেট পাবে। ৮ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট রাজশাহীর। ৭ ম্যাচে বরিশালের পয়েন্টও চার। ৭ ম্যাচে বরিশালের পয়েন্টও চার। জিতলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চারে যাবে বরিশাল। তামিমরা হারলে রান রেটের হিসাবে প্লে-অফের চতুর্থ দল চূড়ান্ত হবে। বেক্সিমকো ঢাকা-ফরচুন বরিশালের মধ্যকার ম্যাচটি সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় শুরু হবে। রাজশাহীর দৃষ্টি এখন এই ম্যাচের দিকেই।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের হাফ সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ১৭৫ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে মোহাম্মদ মিঠুনের দল। জবাবে শুরু থেকেই উল্টো পথে হাঁটা রাজশাহীর ইনিংস ১৩৯ রানে শেষ হয়। তাদের কোনো ব্যাটসম্যানই ৩০ এর বেশি রান করতে পারেননি।
বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে থাকা রাজশাহীর। দলীয় ১০ রানেই থামেন ওপেনার আনিসুল ইমন। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও হাল ধরতে পারেননি। ১১ রান করে কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন তিনি। এরপর মাঝের চারজন ব্যাটসম্যান প্রয়োজনীয় রান রেটের বিষয়টি মাথায় রেখে ব্যাট চালানোর চেষ্টা করেছেন।
রানের দেখা পেলেও কেউ-ই ইনিংস বড় করতে পারেননি। রনি তালুকদার ১৬, ফজলে মাহমুদ রাব্বি ১৯, নুরুল হাসান সোহান ২৮ ও মাহেদী হাসান ১৭ বলে ৩টি ছক্কায় ২৬ রান করেন। সানজামুল ইসলাম ১২ রান করেন। রাজশাহীর ইনিংস শেষ হয় ৮ উইকেটে ১৩৯ রানে। চট্টগ্রামের স্পিনার নাহিদুল ইসলাম সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন। এ ছাড়া জিয়াউর ২টি এবং শরিফুল, মুস্তাফিজ ও রাকিবুল একটি করে উইকেট নেন।
এরআগে ব্যাটিং করা চট্টগ্রামকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। উদ্বোধনী জুটিতে ১২১ রান যোগ করেন এই দুই মারকাটারি ব্যাটসম্যান। যা চলতি আসরে এখন পর্যন্ত উদ্বোধনী জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। এই জুটি গড়ার পথে দুজনই হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। লিটন ৪৩ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৫ রান করেন।
আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা সৌম্য ৪৮ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। চার নম্বরে নেমে ছোট্ট ঝড়ো ইনিংস খেলেন শামসুর রহমান শুভ। ১৮ বলে একটি চার ও ৩টি ছক্কায় অপরাজিত ৩০ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। জিয়াউর রহমান ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। রাজশাহীর আনিসুল ইমন ২টি এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও রেজাউর রহমান রাজা একটি করে উইকেট নেন।