‘বিশেষ’ প্রয়োজন না হলে মাঠে নামবেন না সাকিব
চোটের কারণে চট্টগ্রাম টেস্টে সাকিব আল হাসানের আর খেলা হচ্ছে না, এটা প্রায় নিশ্চিত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে মিরপুরে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টেও বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার খেলতে পারবেন কিনা, তা নিয়েও শঙ্কা জেগেছে।
এরপরও অবশ্য নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না যে, চট্টগ্রাম টেস্টে আর মাঠে নামবেন না সাকিব। কারণ দলের বিশেষ প্রয়োজন হলে তাকে মাঠে নামতে হতে পারে। বাংলাদেশ হেরে যাচ্ছে, কেবল এমন অবস্থা তৈরি হলেই সাকিবকে খেলানো হবে। এমনই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক কর্মকর্তা।
অস্বস্তি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৬৮ রান করা সাকিব। তৃতীয় দিন মাঠে নামেননি তিনি। শুক্রবার সকালের দিকে এমআরআই করানোর পর জানা যায়, নতুন ইনজুরিতে পড়েছেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। বিসিবি এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, বাঁ ঊরুতে টান লেগেছে সাকিবের। আরও দুদিন বিসিবির চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি।
শুক্রবার সকালে দিকে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, এমআরআই রিপোর্টের ওপর নির্ভর করবে সাকিব খেলতে পারবেন কিনা। যদিও এই অবস্থা আর নেই। জাতীয় দলের ফিজিও, চিকিৎসকরা মনে করছেন, সাকিবকে খেলানোর ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না।
বিসিবি কর্মকর্তা বলেন, 'চট্টগ্রাম টেস্টে সাকিবের না খেলার সম্ভাবনাই বেশি। দল যদি বিপদে না পড়ে, তাহলে সাকিব ব্যাটিং-বোলিং কোনোটাই করবেন না। তবে যদি এমন অবস্থা হয় যে, সাকিবকে ছাড়া হচ্ছেই না, তখন হয়তো তাকে খেলানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
শুধু চট্টগ্রাম টেস্টই নয়, মিরপুর টেস্টেও সাকিবের খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। সাধারণত ঊরুর ইনজুরিতে ক্রিকেটারকে পুরোপুরি বিশ্রাম দেওয়া হয়। ইনজুরি কাটিয়ে উঠতে দুই সপ্তাহ লেগে যায়। তেমন হলে মিরপুর টেস্ট সাকিবের খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
বিসিবি কর্মকর্তা বলেন, 'এবার পুরো ফিট না থাকলেও সাকিবকে দলে নেওয়া হয়েছে। সে দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার, তাকে নিয়ে আর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। মিরপুর টেস্টে সে নাও খেলতে পারে। তবে খেলার সম্ভাবনা একেবারেই যে নেই, সেটাও নয়। অবস্থা ভালো হলে সে খেলবে।'
কয়েক দিনের ব্যবধানে শরীরের দুটি স্থানে টান পড়ে মাঠ ছাড়ার অভিজ্ঞতা হলো সাকিবের। গত ২৫ জানুয়ারি ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে নিজের বলে ফিল্ডিং করতে গিয়ে কুঁচকিতে টান পড়ে সাকিবের। এরপর আর ফিল্ডিং করেননি তিনি। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। স্ক্যান রিপোর্ট ভালো আসায় তাকে অনুশীলনের অনুমতি দেওয়া হয়।
কয়েকদিন অনুশীলন করে পুরো ফিট না হলেও চট্টগ্রাম টেস্টে তাকে একাদশে নেওয়া হয়। কিন্তু মাঠে ফিরে পুরনো ঊরুর চোটে তাকে আবারও মাঠ ছাড়তে হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে নিজের তৃতীয় ওভার করছিলেন সাকিব। দ্বিতীয় বলে নিজেই ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাঁ ঊরুতে টান পড়ে তার।
টান পড়ার অস্বস্তি স্পষ্ট ছিল তার চেহারায়। সময় নিয়ে ওভারটি শেষ করেন সাকিব। কিছুক্ষণ ফিল্ডিং করে দ্বিতীয় স্পেলে আরও তিন ওভার বোলিং করেন বাঁহাতি এই স্পিনার। নিজের ষষ্ঠ ওভারটি করে মাঠ ছাড়েন সাকিব। এরপর আর মাঠে ফেরেননি তিনি।