জিম্বাবুয়ে সফর শেষ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সোহানের
প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের নেতৃত্ব পেয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে যান নুরুল হাসান সোহান। নিজের শতভাগ দিয়ে বড় এই দায়িত্ব পালন করার কথা জানিয়ে গিয়েছিলেন এই সফরে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব পাওয়া উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মেলে প্রমাণও, দল হারলেও নেতার মতোই ব্যাটিং করেন সোহান। কিন্তু তারই সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোয় আর খেলা হচ্ছে না।
আঙুলের চোটে জিম্বাবুয়ে সফরের বাকি অংশ থেকে ছিটকে গেছেন সোহান। রোববার মধ্যরাতে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সোহান ছিটকে যাওয়ায় সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে কে নেতৃত্ব দেবেন, এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি এখনও।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেওয়ার পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে খেলার কথা ছিল সোহানের। কিন্তু দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে কিপিং করার সময় বাঁ হাতের তর্জনীতে চোট পাওয়ায় মাঠের বাইরে চলে যেতে হলো তাকে। কেবল জিম্বাবুয়ে সফরের বাকি ম্যাচগুলো থেকেই নয়, আগামী তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে।
রোববার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে দারুণ জয়ে সিরিজে ফেরার ম্যাচে বাঁ হাতের তর্জনীতে চোট পান সোহান। দেড় বছর পর জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামা ডানহাতি তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের বলে কিপিং করার সময় চোট পান তিনি। পরে তার আঙুল এক্স-রে করা হয়, রিপোর্টে চিড় ধরা পড়ে।
এটা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ দলের ফিজিও মোজাদ্দেদ আলফা সানি। বিসিবির পাঠানো বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, 'আমরা তার আঙুল এক্স-রে করিয়েছি, তাতে তার বাঁ হাতের তর্জনীতে চিড় ধরা পড়েছে। এমন চোট কাটিয়ে উঠতে সাধারণ তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগে। যে কারণে শেষ টি-টোয়েন্টি ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ থেকে সে ছিটকে গেছে।'
অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচে দারুণ সফল ছিলেন সোহান। বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে জয় যখন ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছিল, ব্যাট হাতে ঝড় তুলে তিনিই স্বপ্ন জাগান। দলকে না জেতাতে পারলেও নেতার ভূমিকা ঠিকভাবেই পালন করেন তিনি। ২৬ বলে একটি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।