আঙুলের চোটে ছিটকে গেলেন মুশফিক
ব্যাটিং ব্যর্থতা যেন অমোঘ নিয়তি হয়ে উঠেছে, বাংলাদেশ পার করছে দুঃস্বপ্নের এক অধ্যায়। ভারত সফরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া দলটি আফগানিস্তানের বিপক্ষে যেভাবে হেরেছে, সেটাকে অবিশ্বাস্যও বলা যায়। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ২৩ রানে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে আফগানদের বিপক্ষে ৯২ রানে হারে তারা।
এমন ম্যাচের পর দুঃসংবাদও শুনতে হলো বাংলাদেশকে, আঙুলের চোটে সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন মুশফিকুর রহিম। বাকি দুই ম্যাচে তার খেলা হবে না, বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিল, আজ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি।
আফগানিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসের শেষের দিকে উইকেটকিপিং করার সময় বাঁ হাতের তর্জনীতে চোট পান মুশফিকুর। এক্স-রে করে তার আঙুলে চিড় পাওয়া গেছে। বিসিবির পাঠানো বিবৃতিতে বাংলাদেশ দলের ফিজিও দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, 'আফগানিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসের শেষের দিকে কিপিং করার সময় মুশফিকুরের বাঁ হাতের তর্জনীর সামনের ভাগে চোট লেগেছে।'
'ম্যাচ শেষে এক্স-রে করে দেখা গেছে, তার বাঁ হাতের তর্জনীর ডি.আই.পি (ডিস্টাল ইন্টারফ্যালাঞ্জিয়াল) জয়েন্টের কাছে চিড় আছে। তিনি বর্তমানে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে আছেন। অর্থাৎ, সার্জারি ছাড়াই চিকিৎসা চলছে। এ কারণে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ওয়ানডেতে তাকে দলে পাওয়া যাবে না। তার বর্তমান অবস্থা এবং সম্ভাব্য সুস্থ হওয়ার সময় সম্পর্কে পরবর্তী আপডেট দেওয়া হবে।' বলেন তিনি।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন মুশফিক। তখনই প্রশ্ন ওঠে, এতো পরে কেন ব্যাটিংয়ে নেমেছেন তিনি। কারণ, ১২০ রানে শুরু হওয়া উইকেট বৃষ্টি থামাতে ঢাল হতে পারতেন মুশফিক। কিন্তু তার আগে ব্যাটিংয়ে যান মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পরে জানা যায়, চোট পাওয়ায় প্রাথমিক শুশ্রূষার পর ব্যথা কমার জন্য সময় নেন মুশফিক।
৯ বছর পর ওয়ানডেতে সাত নম্বরে ব্যাটিং করলেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৫ বিশ্বকাপে এই পজিশনে ব্যাটিং করেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৫০ ওভারের ম্যাচে বেশিরভাগ সময় চার-পাঁচে ব্যাটিং করেছেন মুশফিক। গত দেড় বছরে তিনি বেশিরভাগ সময় ছয় নম্বরে নেমেছেন। কাল সাত নম্বরে নেমে ভালো অভিজ্ঞতা হয়নি মুশফিকের। দলের মহাবিপর্যয়ে ৩ বলে ১ রান করে ফিরে যান সাজঘরে, তার আউটের ধরন নিয়েও ওঠে প্রশ্ন।