সিরিজ শেষ লিটনের, এশিয়া কাপে খেলা নিয়েও শঙ্কা
হাফ সেঞ্চুরির পর চেনা ছন্দে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন, হাঁটছিলেন সেঞ্চুরির পথেই। কিন্তু হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় লিটন কুমার দাসকে। ৮১ রান করে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর মাঠে ফেরা হয়নি বাংলাদেশের এই ওপেনারকে। কেবল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই ম্যাচেই নয়, আরও লম্বা সময়ের জন্য মাঠে ফেরা হচ্ছে না লিটনের।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাকি দুই ওয়ানডেতে তো খেলা হচ্ছেই না, এশিয়া কাপেও লিটনকে দলে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ২৭ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপে নাও খেলা হতে পারে লিটনের। বিসিবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, লিটনের হ্যামস্ট্রিংয়ে 'গ্রেড টু মাসল স্ট্রিং' ধরা পড়েছে। তিন থেকে চার সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে। চার সপ্তাহ লাগলে ততোদিনে এশিয়া কাপ শুরু হয়ে হয়ে যাবে।
বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশ দলের ফিজিও মুজাদ্দেদ আলফা সানি বলেছেন, 'আমাদের ওপেনার লিটন কুমার দাস আজ ব্যাটিং করার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। ম্যাচের মাঝে আমরা তাকে স্ক্যান করতে পাঠাই। স্ক্যানে তার ফল আসে গ্রেড টু মাসল স্ট্রিং। এ ধরনের ইনজুরিতে থেকে ফিট হতে তিন থেকে চার সপ্তাহ লেগে যায়। এই সিরিজে লিটনকে আর আমরা পাচ্ছি না।'
এই ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় বৃদ্ধাঙ্গুলিতে চোট পেয়েছেন মুশফিকুর রহিমও। এ ছাড়া ফিল্ডিংয়ের সময় পায়ে আঘাত পান শরিফুল ইসলাম। যদিও এই দুজনের চোট গুরুতর নয় বলে জানান মুজাদ্দেদ। তিনি বলেন, 'আজ ব্যাটিংয়ের সময় মুশফিক ভাইও বৃদ্ধাঙ্গুরিতে আঘাত পান। তবে বড় কিছু বলে মনে হচ্ছে না। আশা করি পরের ম্যাচে তাকে আমরা পাচ্ছি। আর শরিফুল আঘাত পাওয়ায় সে সময় অবস বোদ করছিল। আশা করি কালকের মধ্যে ভালো খবর দিতে পারব।'
শুক্রবার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের ৩৪তম ওভারের খেলা চলছিল। সিকান্দার রাজার বলে দ্রুত এক রান নেওয়ার জন্য দৌড়ান লিটন। রান সম্পূর্ণ করার শেষ মুহূর্তে গিয়ে টান পড়ে তার বাঁ পায়ে। উইকেট থেকে একটু দূরে গিয়েই শুয়ে পড়েন তিনি। বাংলাদেশের ফিজিও মাঠে গিয়ে দেখার পর স্ট্রেচারে করে লিটনকে মাঠ থেকে নেওয়ার পরামর্শ দেন। স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়ার সময় ব্যথায় কাতড়াতে দেখা যায় লিটনকে।
মাঠ ছাড়ার আগে দারুণ ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ ওপেনার। ৮৯ বলে ৯টি চার ও একটি ছক্কায় ৮১ রান করেন লিটন। ওয়ানডেতে এটা তার সপ্তম হাফ সেঞ্চুরি। এদিন জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ধীর-স্থির মেজাজে শুরু করেন লিটন। হাফ সেঞ্চুরি পর্যন্ত ঠান্ডা মেজাজেই ব্যাটিং চালিয়ে যান ডানহাতি এই ওপেনার।
৭৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন। ৫০ পেরোতেই ব্যাটিং করার ধরন পাল্টে নেন স্টাইলিশ এই ব্যাটসম্যান, মন লাগান দ্রুত রান তোলায়। মারকুটে ব্যাটিংয়ে পরের ৩১ রান তুলতে মাত্র ১৪ বল খরচা করেন লিটন।