দ্বিতীয় ম্যাচে নেই মুস্তাফিজ, হাল্কা চোট নিয়েই খেলবেন মুশফিক-শরিফুল
বাংলাদেশ দলে চোটের বহর ক্রমেই বড় হচ্ছে। চোটের কারণে ইতোমধ্যে জিম্বাবুয়ে সফরের বাকি অংশ থেকে ছিটকে গেছেন নুরুল হাসান সোহান ও লিটন কুমার দাস। চোটের তালিকায় আছে আরও কয়েকটি নাম। এর মধ্যে মুস্তাফিজুর রহমানের চোটটা মুশফিকুর রহিম ও শরিফুল ইসলামের চেয়ে বেশি। যে কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তাকে বিশ্রামে রাখা হবে।
শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় মুশফিক, মুস্তাফিজ ও শরিফুলের চোটের অবস্থা সম্পর্কে জানান জাতীয় দলের ফিজিও মুজাদ্দেদ আলফা সানি। তিনি জানান, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুশফিক-শরিফুল খেলার অবস্থায় থাকলেও বিশ্রাম দেওয়া হবে গোড়ালিতে চোট পাওয়া মুস্তাফিজকে।
তিনি বলেন, 'মুশফিকুর রহিম ভাই, মুস্তাফিজ ভাই ও শরিফুল ভাইকে নিয়ে আজ আমরা পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলাম। মুশফিক ভাইয়ের হাতে আমরা কোনো চিড় পাইনি। তবে সফট টিস্যু আছে। আর শরিফুলের ক্ষেত্রে আমরা বড় কিছু পাইনি।'
'মুস্তাফিজ ভাইয়ের এমআরআইতেও খারাপ কিছু আসেনি। শুধু জয়েন্ট ইফুউশন আর সফট টিস্যু ইড্যুশন এসেছে। কালকের ম্যাচে মুশফিক ভাই এবং শরিফুল দুজনই অ্যাভেইলেবল আছেন। আর মুস্তাফিজ ভাইকে হয়তো আমরা আগামী ম্যাচটা বিশ্রাম দেবো। পরের ম্যাচ থেকে উনি অ্যাভেইলেবল থাকবেন।' যোগ করেন মুজাদ্দেদ সানি।'
লিটনের ছিটকে যাওয়ার ম্যাচেই চোট পান মুশফিক ও শরিফুল। মুশফিক ব্যাটিং করার সময় বৃদ্ধাঙ্গুলিতে আঘাত পান। আর শরিফুল নিজের বলে ফিল্ডিং করতে গিয়ে পায়ে আঘাত পান। এর আগে রান নিয়ে গিয়ে হ্যামস্ট্রিয়ে চোট পান লিটন। তিন-চার সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাঁ হাতের তর্জনীতে আঘাত পাওয়া সোহানেরও চোট কাটিয়ে উঠতে তিন-চার সপ্তাহ লাগবে। তার আঙুলে অস্ত্রোপচারও লাগতে পারে। ডাক্তার দেখাতে রোববার সিঙ্গাপুর যাবেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। পরের দিন ডাক্তার দেখাবেন তিনি। অস্ত্রোপচার লাগলে সেদিনই করা হবে।