কোহলির পর যে মাইলফলক ছোঁয়ার পথে সাকিব
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল বিরাট কোহলির মাইলফলক ছোঁয়ার। ভারতের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে শততম টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছিলেন তারকা এই ব্যাটসম্যান। কোহলির বিশেষ ম্যাচে জয়ের হাসি হাসে তার দল। বাংলাদেশ কি পারবে সাকিব আল হাসানের বিশেষ ম্যাচটিকে আরও বিশেষ করে তুলতে?
কোহলির একদিন পরই শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন সাকিব। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩০ আগস্টের ম্যাচটি দিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে যাচ্ছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশের তৃতীয় ও বিশ্বের ১৫তম ক্রিকেটার হিসেবে মাইলফলকটি ছুঁতে যাচ্ছেন সাকিব। তার আগে বাংলাদেশের হয়ে এই মাইলফলকে পৌঁছেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম।
সংক্ষিপ্ততম এই ফরম্যাটে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৯টি ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ, যা বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ। তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন ভারতের রোহিত শর্মা (১৩৩), পাকিস্তানের শোয়েব মালিক (১২৪) ও নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল (১২১)। এই ফরম্যাটে মুশফিক খেলেছেন ১০০টি ম্যাচ।
এবার সেঞ্চুরির অপেক্ষায় অধিনায়ক সাকিব। ২০০৬ সালের নভেম্বরে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় সাকিবের। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে এই ফরম্যাটের ৫০তম ম্যাচ খেলেন তিনি।
৯৯ টি-টোয়েন্টির ৯৮ ইনিংসে ব্যাটিং করে ১০টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ১২০.৮৬ স্ট্রাইক রেট ও ২৩.১০ গড়ে ২ হাজার ১০ রান করেছেন সাকিব, যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। মারকাটারি এই ফরম্যাটে তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ৮৪। ২০১২ বিশ্বকাপে পাল্লেকেলেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫৪ বলে ৮৪ রানের ইনিংসটি খেলেন সাকিব।
এই ফরম্যাটে বল হাতে আরও দাপুটে সাকিব। টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের মালিক তিনি, তার উইকেট ১২১টি। বিশ্বের প্রথম স্পিনার হিসেবে ১০০ উইকেট পূর্ণ করেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ২০ ওভারের এই ফরম্যাটে পাঁচবার চার উইকেট এবং একবার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। তার সেরা বোলিং ২০ রানে ৫ উইকেট, ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।