শিরোপা যুদ্ধে রাজাপাকসের ব্যাটে শ্রীলঙ্কার লড়াকু পূঁজি
শিরোপার লড়াই বলে কথা। চাপ থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। এই চাপেই কিনা ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কার শুরুটা হলো দুঃস্বপ্নের মতো। পাকিস্তানি পেসারদের তোপে শুরুতেই দিকহারা লঙ্কানরা। তিন উইকেট হারিয়ে অন্ধকারে পড়ে যাওয়া দিলটি আলোর পথ খুঁজে পায় ভানুকা রাজাপাকসের ব্যাটে। টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট চালান ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, ভানিন্দু হাসারাঙ্গারাও। তাতে লড়াকু পূঁজিই পেল শ্রীলঙ্কা।
রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ১৭০ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। ঘোর সঙ্কটে পড়ে যাওয়া দলকে পথ দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করা বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান রাজাপাকসে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করেন। অবদান রাখেন ধনঞ্জয়া, হাসারাঙ্গারাও।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা শ্রীলঙ্কা প্রথম ওভারেই ওপেনার কুশল মেন্ডিসকে হারায়। পাকিস্তানের তরুণ পেসার নাসিম শাহর বলে উপড়ে যায় এক বল মোকাবেলা করা মেন্ডিসের স্টাম্প। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন তিনি। শ্রীলঙ্কা শুরুর চাপ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই পাথুম নিসাঙ্কাকে ফিরিয়ে দেন পাকিস্তানের আরেক পেসার হারিস রউফ। ১১ বলে ৮ রান করে থামেন তিনি।
২৩ রানে ২ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কার বিপদ আরও বাড়ান হারিস। দুই ওভার পরই দানুশকা গুনাথিলাকাকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন তিনি। এক পাশ আগলে ব্যাট চালাতে থাকা ধনঞ্জয়ার সঙ্গে জুটি বাধেন রাজাপাকসে। চাপ কাটিয়ে এ দুজন সাবলীল ব্যাটিং শুরু করলেও জুটি বড় করতে পারেননি।
দলীয় ৫৩ রানে বিদায় নেন ধনঞ্জয়া। ফেরার আগে ২১ বলে ৪টি চারে ২৮ রান করেন তিনি। চতুর্থ উইকেট হারিয়ে আবারও চাপ বাড়ে শ্রীলঙ্কার। কারণ একটু পরই ২ রান করা লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে ফিরিয়ে দেন পাকিস্তানের লেগ স্পিনার শাদাব খান। যদিও উইকেট হারানোর দলকে বুঝতেই দেননি রাজাপাকসে ও হাসারাঙ্গা।
ষষ্ঠ উইকেটে ৩৬ বলে ৫৮ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তারা। দলীয় ১১৬ রানে হাসারাঙ্গার বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। এর আগে ২১ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৬ রান করেন তিনি। চামিকা করুনারত্নেকে নিয়ে বাকিটা সময় দাপুটে ব্যাটিং করেন রাজাপাকসে। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪৫ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭১ রানের অসাধারণ ইনিংস ইনিংস খেলেন। ১৪ বলে অপরাজিত ১৪ রান করেন করুনারত্নে। পাকিস্তানের হারিস রউফ সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান নাসিম, হারিস ও ইফতিখার আহমেদ।