জয়ের খরা কাটিয়ে আবারও হার বাংলাদেশের
সময়টা ভালো যাচ্ছিল না, জয়ের দেখা মিলছিলোই না। প্রিয় প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠা কম্বোডিয়াকে হারিয়ে জয়খরা কাটায় জামাল ভূঁইয়ার দল। কিন্তু সেই ধারায় থাকা হলো না তাদের। পরের ম্যাচেই ছন্দ হারিয়ে আবারও হার মেনে নিলো দুঃসময়ে এলোমেলো পথ হাঁটা বাংলাদেশ ফুটবল দল। নেপালের বিপক্ষে সামান্যতম লড়াইও করতে পারলো না সফরকারীরা।
মঙ্গলবার কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরে গেছে বাংলাদেশ। কদিন আগেই কম্বোডিয়াকে ১-০ গোলে হারানো বাংলাদেশকে এদিন শাসন করে খেলেছে নেপাল। স্বাগতিকদের পক্ষে তিনটি গোলই করেন হ্যাটট্রিক হিরো অঞ্জন বিস্তা। বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন সাজ্জাদ হোসেন।
জামালরা হার মানলেও নেপালের এই দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামেই ইতিহাসের জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতে সাবিনা খাতুনের দল। কদিন পরই একই প্রতিপক্ষের পুরুষ দলের বিপক্ষে ম্যাচ থাকায় জামালদের নিয়ে ছিল আশা। কিন্তু নেপালের গোছালো ফুটবলের বিপক্ষে কুলিয়ে উঠতে পারলো না বাংলাদেশ।
যদিও ম্যাচে শুরুটা খারাপ ছিল না জামালদের। শুরুতে সমানে সমান লড়াই করে বাংলাদেশ। ১৬তম মিনিটে সম্ভাবনাও তৈরি হয়। কিন্তু জামালের ফ্রি-কিক ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। সুযোগের সঙ্গে যেন খেইও হারায় বাংলাদেশ। দুই মিনিট পরই এগিয়ে যায় নেপাল। ডান দিক থেকে বিমল ঘারতি মাগারের ফ্রি-কিকে জটলার ভেতর থেকে হেডে বল জালে জড়ান অঞ্জন।
২৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেপাল। স্বাগতিক দেশটির প্রথম চেষ্টা বাংলাদেশ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো ফেরালেও অঞ্জনের ফিরতি শট জড়িয়ে যায় জালে। ১১ মিনিট পর হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। ৩৮তম মিনিটে সতীর্থের ক্রসে হেড করে গোল আদায় করে নেন অঞ্জন। ৫৭তম মিনিটে ডাইভিং হেডে গোল করে ব্যবধান কমান সাজ্জাদ। এরপর বাকি সময়ে চেষ্টা করলেও আর জালের ঠিকানা পায়নি বাংলাদেশ। উল্টো এলোমেলো রক্ষণভাগ নিয়ে অস্বস্তিতে থাকতে হয় তাদের।