বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে মিশন শেষ তিউনিশিয়ার
দুই ম্যাচেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হওয়ায় তাড়া ছিল না ফ্রান্সের। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা তাই তিউনিশিয়ার বিপক্ষে যেন একটু 'রিল্যাক্স' থাকতে চাইলো, নামালো দ্বিতীয় সারির দল। জিততে মরিয়া তিউনিশিয়া এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে প্রাণপণে লড়ে করে নিলো জালের ঠিকানা। তখন যেন টনক নড়লো ফ্রান্সের, একে একে নামানো হলো রাঁবিয়ত, এমবাপ্পে, গ্রিজম্যান, দেম্বেলেদের। এতে খেলায় দাপট ফেরালো ফ্রান্স, কিন্তু ব্যবধান ঘুচলো না। দারুণ জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করলো আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়া।
বুধবার কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে 'ডি' গ্রুপের ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারিয়েছে তিউনিশিয়া। বিশ্বকাপে প্রথম সাক্ষাতেই ফরাসীদের বিপক্ষে বিজয় নিশান গাড়লো তারা। যদিও এই জয়ে বিশ্বকাপ স্বপ্ন পূরণ হয়নি দেশটির।
তিন ম্যাচে একটি জয়, এক হার ও এক ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বর তারা। ফ্রান্সের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ ষেলোয় উঠেছে অস্ট্রেলিয়া। একই সঙ্গে শুরু হওয়া ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া হারলে বা ড্র করলে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতো তিউনিশিয়া। শেষ ম্যাচে হেরেও গ্রুপসেরা হলো ফ্রান্স।
দ্বিতীয় সারির দল পেয়ে দাপট দেখায় তিউনিশিয়া, দ্বিতীয়ার্ধেও অনেকটা সময় জারি থাকে তা, সেই ধারাতেই মেলে গোলের দেখা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে কয়েকজন খেলোয়াড় পাল্টে খেলায় ফ্রেরে ফ্রান্স। গোল না করতে পারলেও বাকিটা সময় অবিরত আক্রমণে তিউনিশিয়াকে ব্যতিব্যস্ত রাখে বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৬৬ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখা ফ্রান্স গোলমুখে ১০টি শট নেয়, এর মধ্যে ৩টি ছিল লক্ষ্যে। তিউনিশিয়া শট নেয় ৫টি, লক্ষ্যে ছিল ৩টি।
অষ্টম মিনিটে ফ্রি-কিক পায় তিউনিশিয়া। ক্রস থেকে দারুণ ভলিতে বল জালে জড়ান নাদের ঘানদ্রি। কিন্তু তাদের উৎসব মাটি হয়ে যায়, অফসাইডে গোলটি বাতিল করা হয়। ২৫তম মিনিটে আক্রমণে যায় ফ্রান্স। দারুণ সুযোগ পান কিংসলে কোমান। কিন্তু খুব ভালো জায়গা থেকেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি বায়ার্ন মিউনিখের এই ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধে এটাই ফরাসীদের বলার মতো আক্রমণ ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধেও দাপট ধরে রাখে তিউনিশিয়া, ৫৮তম মিনিটে জালের দেখা পায় তারা। চলতি আসরে এটাই তাদের প্রথম গোল। মাঝমাঠে ইউসুফ ফোফানার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে এইস্সা লাইদুনি বল বাড়ান ওয়াহবি খাজরিকে। বল কিছুটা এগিয়ে ডি-বক্সের মুখ থেকে ডিফেন্ডারদের এড়িয়ে আড়াআড়ি শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। পিছিয়ে পড়ে কয়েকটি পরিবর্তন এনে অনেক আক্রমণ সাজায় ফ্রান্স, কিন্তু গোলের দেখা মেলেনি। শেষ দিকে গ্রিজম্যান জালের দেখা পেলেও অফসাইডে তা বাতিল হয়।