ফাইনালের আগে ঠান্ডা ভাইরাসের সমস্যায় ফ্রান্স
দুর্বার গতিতে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে ফ্রান্স। টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা ফরাসীরা শিরোপা স্বপ্নে বিভোর। টানা দ্বিতীয় ফাইনালের মতো দ্বিতীয়বার বিশ্বজয়ের আনন্দে মাততে চায় তারা। শিরোপার লড়াইয়ে ১৮ ডিসেম্বর লুসাইল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। স্বপ্নের পথচলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ঠান্ডা ভাইরাসের সমস্যায় পড়েছে ফরাসী শিবির।
ফাইনালের বাকি আর একদিন, মাঝের এই সময়টাতেই সব প্রস্তুতি সেরে নিতে হবে। এমন সময়ে ঠান্ডা ভাইরাস বিপাকে বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ফ্রান্সের অন্তত তিনজন ফুটবলার ঠান্ডা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বিষয়টি জানিয়েছেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম। যদিও এ নিয়ে চিন্তিত নন বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের কোচ।
ফরাসী এই কোচ জানিয়েছেন, ডিফেন্ডার দায়োদ উপামেকানো ও আদ্রিয়েন রাবিয়ঁতের শরীরে ঠান্ডা ভাইরাসের উপসর্গ ছিল। পরে তাদেরকে আইসোলেশনে রাখা হয়। যে কারণে সেমি-ফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতার ম্যাচে খেলা হয়নি ফ্রান্সের এই দুই ফুটবলারের। বিকল্প উইঙ্গার কিংসলে কোমানের শরীরেও জ্বর অনুভূত হয়েছে বলে জানান দেশম।
আল বাইত স্টেডিয়ামে মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচে রাবিয়ঁতকে একাদশে রাখা হয়নি। উপামেকানোকে বদলির তালিকায় রাখা হয়, কিন্তু ম্যাচে নামা হয়নি রক্ষণভাগের এই খেলোয়াড়ের। দেশম জানিয়েছেন, শনিবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ খেলার পর কঠিন তিনটি দিন পার করে রিকভারি করার চেষ্টার করেন।
তবে উপামেকানোকে ফাইনালে পাওয়ার আশায় অধিনায়ক ও কোচ হিসেবে ফ্রান্সকে শিরোপা জেতানো দেশম। তিনি বলেন, 'এখনও সময় আছে পরের ম্যাচের আগে, রোববারের ম্যাচে একাদশে তার থাকা উচিত।' তিনজন ফুটবলারের ঠান্ডা ভাইরাসজনিত সমস্যা থাকলেও দেশম অবশ্য ফাইনালে সবাইকে সুস্থ অবস্থায় পাবেন বলেই আশা করছেন।
এই সময়টাতে ফ্লুর প্রকোপ থাকে জানিয়ে ফরাসী এই কোচ আরও বলেন, 'এটা ফ্লুর মৌসুম, সেদিক বিবেচনা করলে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এ ছাড়া একটা কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে খেলোয়াড়দের, এ কারণে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা কমতেই পারে।'
ফ্রান্স দল আউটডোরে অনুশীলন করেছে। খোলা বাতাসে প্রস্তুতি নিতেই এই ব্যবস্থা করা হয় বলে জানান দেশম। কারণ, উচ্চ তাপমাত্রার কারণে কাতারে বেশিরভাগ সময়ই এয়ার কন্ডিশনে থাকতে হয় ফুটবলারদের। আট স্টেডিয়ামের সাতটিতেই এয়ার কন্ডিশন ব্যবস্থা আছে, এ ছাড়া ভ্রমণের সময়ও নিয়মিত থাকতে হয় এয়ার কন্ডিশনে।
তবে গত কয়েকদিনে তাপমাত্রা কমেছে। তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণেই ঠান্ডাজনিত সমস্যা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঠান্ডা ভাইরাস নিয়ে চিন্তিত নন জানিয়ে দেশম বলেছেন, 'গত কয়েক দিনে তাপমাত্রা কমেছে এবং আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। সত্যি বলতে ভাইরাস নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।'