আফিফের হাফ সেঞ্চুরির পর রসুলি ঝড়, চট্টগ্রামের দাপুটে জয়
লক্ষ্য বড় না হলেও সেটা সহজ মনে হচ্ছিল না। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স সহজে জয়ের পথে এগিয়ে যেতে পারছিল না। কিন্তু দুই উইকেট পড়ার পর আফিফ হোসেন ধ্রুব ও দারউইস রসুলি যে দলের হাল ধরলেন, আর পথ হারালেন না। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংস আরও কিছুটা বড় করলেন আফিফ, শেষ দিকে ঝড় তুলে রসুলিও পূর্ণ করলেন পঞ্চাশ। তাদের ব্যাটে ঢাকা ডমিনেটর্সকে হারিয়ে ঘরের মাঠে জয়ে ফিরলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঘরের মাঠের দলটির এটা দ্বিতীয় জয়। চার ম্যাচে দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চার নম্বরে আছে চট্টগ্রাম। ১৬ জানুয়ারি একই ভেন্যুতে তাদের পরের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে ঢাকা। উসমান গনি, অধিনায়ক নাসির হোসেন ও আরিফুল হকের ব্যাটে ৬ উইকেটে ১৫৮ রান তোলে তারা। জবাবে দুঃস্বপ্নের শুরু হলেও তা কাটিয়ে ওঠা চট্টগ্রামকে পথ দেখান ম্যাচসেরা আফিফ ও রসুলি। হার না মানা শতক ছাড়ানো জুটিতে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন এ দুজন। ১৪ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ১ রানেই ওপেনার আল-আমিন জুনিয়রকে হারায় চট্টগ্রাম। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে তার স্টাম্প উপড়ে নেন ঢাকার পেসার তাসকিন আহমেদ। যদিও শুরুতেই উইকেট হারানোর চাপ বুঝতে হয়নি চট্টগ্রামকে। ঘরের মাঠের দলটিকে ৫০ পেরিয়ে দেন উসমান খান ও আফিফ। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৫ রান যোগ করেন এ দুজন।
২১ বলে ২২ রান করা উসমানের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি চট্টগ্রামকে। ক্রমেই রান তোলার গতি বাড়িয়ে দারুণ জুটিতে সহজেই দলকে জয় এনে দেন আফিফ ও রসুলি। তৃতীয় উইকেটে ৬৩ বলে ১০৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন এ দুজন। ম্যাচসেরা আফিফ ৫২ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ঝড় তোলা রসুলি ৩৩ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্বায় ৫৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ঢাকার তাসকিন ও আরাফাত সানি একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা ঢাকা ডমিনেটর্সের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন উসমান খান। আফগান ডানহাতি এই ওপেনার ৩৩ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪৭ রান করেন। এ ছাড়া আরেক ওপেনার মিজানুর রহমান ২৮, অধিনায়ক নাসির ৩০ ও আরিফুল অপরাজিত ২৯ রান করেন। চট্টগ্রামের মেহেদী হাসান রানা ও নিহাদুজ্জামার ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান মালিন্দ পুষ্পকুমারা ও অধিনায়ক শুভাগত হোম।