তাসকিন আগুনে পুড়লো খুলনা, অবশেষে ঢাকার মুখে জয়ের হাসি
যে সংগ্রহ মেলে, জয়ের আশা করা কঠিন ছিল। হারের বৃত্তে বন্দি থাকা ঢাকা ডমিনেটর্স আরেকটি হার দেখতে যাচ্ছে, এমনই মনে হয়েছিল। কিন্তু বল হাতে আগুন ঝরালেন ম্যাচসেরা তাসকিন আহমেদ, দাপট দেখালেন আল আমিন হোসেন, নাসির হোসেনরাও। তাতে মুখ থুবড়ে পড়লো খুলনার ইনিংস, ছোট লক্ষ্য পাড়ি দিতে নেমেও সঙ্গী হলো হার। টানা ছয় ম্যাচ হারের অবশেষে জয়ের হাসি হাসলো ঢাকা।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে 'লো স্কোরিং থ্রিলার'- এর ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ২৪ রানে হারিয়েছে ঢাকা ডমিনেটর্স। প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়া ঢাকা টানা ছয়টি ম্যাচ হেরেছিল, অষ্টম ম্যাচে এসে ভাগ্য বদলালো তাদের। ৮ ম্যাচে ২ জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ছয় নম্বরে নাসিরের দল। ছয় ম্যাচে সমান দুই জয়ে পাঁচ নম্বরে আছে খুলনা।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে ঢাকা ডমিনেটর্স। ওপেনার সৌম্য সরকার ছাড়া সবাই যোগ দেন আসা যাওয়ার মিছিলে। আসরে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করা সৌম্য ছাড়া ঢাকার আর দুজন দুই অঙ্কের রান করেন। বাকিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৫ রান। দুই বল বাকি থাকতে ১০৮ রানে অলআউট হয় ঢাকা। জবাবে তাসকিনের বোলিং তোপের মুখে ১৫.৩ ওভারে ৮৪ রানে অলআউট হয়ে যায় খুলনা।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমেও শুরুটা ভালো করতে পারেনি খুলনা টাইগার্স। ৯ রানে প্রথম উইকেট হারানো দলটি দ্বিতীয় উইকেট খোয়ায় দলীয় ৩০ রানে। এখান থেকে যে ভাঙনের সুর বেজেছে, আর থামেনি। কেবল তামিম ইকবাল ও অধিনায়ক ইয়াসির আলী রাব্বি দুই অঙ্কের রান করেন, বাকিরা উইকেটে গেছেন আর ফিরেছেন। বাকি ৯ ব্যাটসম্যানের মধ্যে থেকে সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটসম্যানের রান ৭।
তামিম ২৩ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ইনিংস সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন। ২৪ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান করেন ইয়াসির। খুলনার ব্যাটিং লাইন আপ গুঁড়িয়ে দেওয়া তাসকিন ৩.৩ ওভারে মাত্র ৯ রানে ৪টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন আল আমিন ও নাসির। একটি করে উইকেট পান সালমান ইরশাদ ও আমির হামজা। ৩ ওভারে মাত্র ৫ রান খরা করেন আফগান স্পিনার হামজা।
এর আগে ব্যাটিং করা ঢাকা ডমিনেটর্স পুরো ইনিংস ধরে ধুঁকেছে। দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারানো দলটি চতুর্থ ওভারের মধ্যে আরও দুটি উইকেট খোয়ায়। এরপর নিয়মিত ধারায় উইকেট হারিয়ে গেছে দলটি। নাহিদুল ও নাসুমের স্পিন রাজত্বের মাঝে কেবল সৌম্য ব্যতিক্রম ছিলেন। রান খরায় থাকা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
এক পাশ আগলে খেলতে থাকা সৌম্য ১৫তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৪৫ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৭ রান করেন। এ ছাড়া তাসকিন আহমেদ ৯ বলে ২টি চারে ১২ ও আল আমেন হোসেন ১১ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। বাকিদের মধ্যে কেউ ৫ রানের গন্ডি পেরোতে পারেননি। ঢাকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান আসে অতিরিক্ত থেকে। খুলনার স্পিনার নাহিদুল ৪ ওভারে দুই মেডেনসহ মাত্র ৬ রানে ৪টি উইকেট নেন, যা তার ক্যারিয়ার সেরা। ৪ ওভারে ১১ রানে নাসুমের শিকার ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাহিদ রানা এবং ওয়াহাব রিয়াজ।