ঢাকার জয়ে অপেক্ষায় সাকিবের বরিশাল
জিতলেই প্লে-অফ নিশ্চিত, আর এই লক্ষ্য নিয়েই ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে মাঠে নামে ফরচুন বরিশাল। কিন্তু এদিন ব্যাটে-বলে সাকিব আল হাসানের দলকে ছন্দময় দেখালো না। আগে ব্যাটিং করে মাঝারি পুঁজি গড়ে বল হাতে লড়াই করলেও তা যথেষ্ট হলো না। ম্যাচসেরা মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে সৌম্য সরকার, আবদুল্লাহ আল আল মামুন, নাসির হোসেনদের ব্যাটে জয় তুলে নিলো ঢাকা।
মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশালকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা ডমিনেটর্স। এই হারেও অবশ্য বরিশালের প্লে-অফের পথ কঠিন হয়নি। ৯ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে আছে তারা। তবে ম্যাচ হারের পাশাপাশি প্লে-অফ নিশ্চিত করতে না পারার আক্ষেপ নিশ্চয়ই আছে সাকিবদের। হারের বৃত্ত ভাঙা ঢাকার এটা তৃতীয় জয়। ১০ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে নাসির হোসেনের দল, তাদের ম্যাচ বাকি আর দুটি। শেষ দুই ম্যাচ জিতেও বিদায় নিতে হতে পারে তাদের, কারণ ১০ পয়েন্ট যথেষ্ট নাও হতে পারে।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন সাকিব। ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পাশাপাশি আরও কয়েকটি ছোট ইনিংসে ৮ উইকেটে ১৫৬ রান তোলে ফরচুন বরিশাল। জবাবে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেওয়া মিথুন ও সৌম্য দুজনই দারুণ ইনিংস খেলেন। এরপর আল মামুন, নাসির, অ্যালেক্স ব্লেকদের ব্যাটে ৭ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে বরিশাল।
জয়ের লক্ষ্য ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্বার শুরু করেন মিথুন ও সৌম্য। দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৭.৪ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৪ রানের জুটি গড়েন তারা। এ সময় বরিশালের বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন ঢাকার এই দুই ওপেনার। ২২ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্বায় ৩৭ রান করে সৌম্য বিদায় নিলেও ম্যাচসেরা মিথুন আরও কিছুটা সময় দলকে পথ দেখান।
দলীয় ১০০ পেরিয়ে থামেন মিথুন। এর আগে ৩৬ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। চলতি বিপিএলে এটাই তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। এরপর আল মামুন ২৬ ও ব্লেক ১৫ রান করেন। অধিনায়ক নাসির দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। দারুণ ছন্দে থাকা অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান ১৬ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। বরিশালের দুই স্পিনার সাকিব ও সানজামুল ২টি করে উইকেট পান। একটি উইকেট নেন করিম জানাত।
এর আগে ব্যাটিং করা বরিশালের হয়ে ৩৫ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেন বিজয়। নিজের ছায়া হয়ে থাকা মাহমুদউল্লাহ ২৭ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া সাইফ হাসান ১৫, ইফতিখার আহমেদ ১০, সালমান হোসেন ১৪ ও করিম জানাত ১৭ রান করেন। ঢাকার আমির হামজা ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান শরিফুল, সালমান, মুক্তার, নাসির ও সৌম্য।