প্রাইজ মানি বেড়েছে বিপিএলের, চ্যাম্পিয়ন-রানার্স আপ পাবে কতো টাকা
বিদেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ, ক্রিকেটার কিনতে অর্থের ঝনঝনানি, চ্যাম্পিয়ন প্রাইজমানি, সম্প্রচারের মান; সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম আসর দিয়ে তাক লাকিয়ে দিয়েছিল আয়োজকরা।
ফ্র্যাঞ্চাইজি সত্ত্ব পাওয়ার লড়াই, ক্রিকেটারদের নিলাম, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও ছিল বিশ্ব মানের। কিন্তু সময় গড়ানোর সাথে সাথে মানে ভাটা পড়েছে, রং হারিয়েছে বিপিএল। এর প্রভাব পড়েছে প্রাইজ মানি, টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারেও। প্রথম দুই আসরে টুর্নামেন্ট সেরাকে পুরস্কার হিসেবে গাড়ি দেওয়া হয়।
গত আসর পর্যন্তও বিপিএলের প্রাইজ মানি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ছিল। তবে এবার বেড়েছে পুরস্কারের আর্থিক পরিমাণ। গত বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন দল পায় এক কোটি টাকা। এবার চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২ কোটি টাকা। রানার্স আপ দলের আর্থিক পুরস্কারের পরিমাণও বেড়েছে। গত আসরে ৫০ লাখ দেওয়া হলেও এবার রানার্স আপ দল পাবে এক কোটি টাকা।
ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় পাবেন পাঁচ লাখ টাকা। টুর্নামেন্টের সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার তিন লাখ টাকা। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক পাবেন পাঁচ লাখ টাকা। এই পুরস্কার জেতার লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৪ ম্যাচে তার রান ৪৫২। এই লড়াইয়ে আছেন সিলেটের তৌহিদ হৃদয়ও। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ১২ ম্যাচে করেছেন ৪০৩ রান।
সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীও পাবেন পাঁচ লাখ টাকা। ১৭ উইকেট নিয়ে সবার উপরে থাকা রংপুর রাইডার্সের পেসার হাসান মাহমুদের ঝুলিতে উঠতে পারে এই পুরস্কার। তবে লড়াইয়ে ভালোভাবেই টিকে আছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের স্পিনার তানভীর ইসলাম, তার শিকার ১৬ উইকেট। রংপুর রাইডার্স বাদ পড়ায় তানভীর ২টি উইকেট নিতে পারলেই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়ে যাবেন।
বাকিদের মধ্যে কারও এই দুজনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। কারণ ১৫ বা ১৬ উইকেট পাওয়া এমন কোনো বোলার আর লড়াইয়ে নেই, তাদের আসর থেকে বিদায় নিয়েছে। লড়াইয়ে টিকে থাকা সিলেটের পেসার রুবেল হোসেনের উইকেট ১২টি, দলটির অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজার উইকেটও ১২টি।
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়কে দেওয়া হবে ১০ লাখ টাকা। এই পুরস্কারের দৌড়ে আছেন কয়েকজন। সবচেয়ে এগিয়ে সাকিব আল হাসান। দলকে প্লে-অফে তোলা ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক ব্যাট হাতে দুর্বার ছিলেন। ১৩ ম্যাচে ৩৭৫ রান করে তালিকার চার নম্বরে তিনি, উইকেট নিয়েছেন ১০টি।
১৪ ম্যাচে ৪৫২ রান করে দৌড়ে আছেন সিলেটের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তও। তবে জয়ে ভূমিকা রাখার কথা বিবেচনা করলে তৌহিদ হৃদয় যোগ্য দাবিদার। ১২ ম্যাচে ৪০৩ রান করা সিলেটের এই ব্যাটসম্যান ৫টি ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন। ফাইনালে আলো ছড়াতে পারলে তিনিও জিততে পারেন পুরস্কারটি। নাসির হোসেনকেও অনেকে তালিকায় রাখার পক্ষে। ঢাকা ডমিনেটর্সের অধিনায়ক ১২ ম্যাচে ৩৬৬ রান করার পাশাপাশি উইকেট নিয়েছেন ১৬টি। যদিও 'ইমপ্যাক্ট' বিবেচনায় এই পুরস্কার জেতার লড়াইয়ে তিনি পিছিয়ে পড়বেন।