রিয়ালকে গুঁড়িয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মধ্যকার ম্যাচটির নাম এল ক্লাসিকো। ইতিহাস, ঐতিহ্য, দ্বৈরথটি থেকে ছড়ানো উত্তেজনার কারণে ম্যাচটি ফুটবলপ্রেমীদের কাছে বিশেষ কিছু। রিয়াল-বার্সা লড়াই মানেই ঝাঁঝালো লড়াই, সেখানে আজ রাতের ম্যাচটি ফাইনাল। শিরোপা জয়ের লক্ষ্য, রিয়ালের জন্য ছিল প্রতিশোধের মিশনও। শুরুতে এগিয়েও গিয়েছিল, কিন্তু বার্সার দাপটের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারলো না তারা। দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার আগে রিয়ালের জালে গোল উৎসব করলো কাতালানরা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের গুঁড়িয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা পুনরুদ্ধার করলো বার্সেলোনা।
রোববার রাতে সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। স্প্যানিশ সুপার কাপে সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ডটি আরও সমৃদ্ধ করলো হান্সি ফ্লিকের দল, এ নিয়ে আসরটির ১৫তম শিরোপা জিতলো তারা। রিয়াল মাদ্রিদ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩বার শিরোপা জিতেছে টুর্নামেন্টটিতে। সর্বশেষ দুটি এল ক্লাসিকো মিলিয়ে রিয়ালকে ৯ গোল দিলো বার্সা। গত অক্টোবরে লা লিগায় মৌসুমের প্রথম ক্লাসিকোয় রিয়ালের মাঠে ৪-০ গোলে জেতে তারা।
আজকের ম্যাচে বার্সেলোনার পক্ষে জোড়া গোল করেন রাফিনিয়া। একটি করে গোলের দেখা পান লামিনে ইয়ামাল, রবার্ট লেভানডোভস্কি ও আলেহান্দ্রো বাল্দে। রিয়ালে পক্ষে একটি করে গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে ও রদ্রিগো। ম্যাচে গোলের মতো বল দখলের লড়াইয়েও এগিয়ে ছিল বার্সা, ৫২ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখে তারা। বার্সার নেওয়া ১৪টি শটের ৮টি ছিল লক্ষ্যে, এর মধ্যে ৪টি জড়ায় জালে। একটি গোল আসে পেনাল্টি থেকে। রিয়ালের নেওয়া ১৯ শটের ৬টি ছিল লক্ষ্যে, দুবার পায় জালের দেখা।
পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় রিয়াল। মাঝমাঠ থেকে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পাস ধরে বার্সা ডিফেন্ডার বাল্দেকে কাটিয়ে বক্সে ঢোকেন এমবাপ্পে। নিখুঁত ফিনিশিংয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে গোল আদায় করে নেন ফরাসি এই স্ট্রাইকার। গোলশোধে মরিয়া বার্সা ২২তম মিনিটে জালের দেখা পায়। লেভানডোভস্কির থ্রু বল ধরে ইয়ামাল বক্সে ঢুকে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দুজনের মাঝ দিয়ে বাঁ পায়ের নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন। ৩৬তম মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সা। গাভিকে ফাউল করায় রেফারি ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দেন। স্পট-কিক থেকে গোল করেন লেভানডোভস্কি।
৩৯তম মিনিটে ডান দিক থেকে জুল কুন্দের ক্রসে রাফিনিয়া দুর্দান্ত হেডে বল জালে পাঠিয়ে ব্যবধান বাড়ান। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে রাফিনিয়ার পাস ধরে বাল্দে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে দলের হয়ে আরেকটি গোল করেন। ৪৮তম মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে মার্ক কাসাদোর পাস ধরে রাফিনিয়া একজনকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন। ৫৬তম মিনিটে এমবাপ্পেকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বার্সার গোলরক্ষক স্ট্যান্সনি। ফ্রি-কিক থেকে গোল করে ব্যবধান কমান রদ্রিগো। বাকি সময়ে অনেক চেষ্টা করলেও ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া বার্সার জালে বল পাঠাতে পারেনি রিয়াল।