এবার ব্রাজিলকে হারিয়ে মরক্কোর ইতিহাস
বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও চমক দেখানো শেষ হয়নি মরক্কোর। প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল খেলা মরক্কো এবার ব্রাজিলকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল।
প্রথমবারের মতো ব্রাজিলকে হারিয়েছে আফ্রিকান-আরব দেশটি। সেই সাথে তারা ফিরিয়ে এনেছে আরব বসন্ত। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার পর খেলতে নামা প্রথম ম্যাচেই হারল সেলেকাওরা।
তিতে দায়িত্ব ছাড়ার পর র্যামন মেনেজেসকে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ব্রাজিল। তবে যে পারফরম্যান্স দেখালেন ক্যাসেমিরো-ভিনিশিয়ুসরা, তাতে যতো দ্রুত সম্ভব নতুন কোচ খোঁজার কথা তাদের।
শুরু থেকেই ব্রাজিলের তুলনায় গতিময় ফুটবল খেলে মরক্কো। বল ব্রাজিলিয়ানদের পায়ে থাকলে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা আর দ্রুত আক্রমণে ওঠার প্রবণতা দলটির মধ্যে দেখা গেছে প্রথম থেকেই। এ জন্য মাঝ মাঠে ঝামেলা বেঁধেছে একাধিকবার।
ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করে অবশ্য ব্রাজিল। ১৩ মিনিটে লুকাস পাকেতার থ্রু বল খুঁজে নিয়েছিল রনিকে, তবে কাছ থেকেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি।
২৪ মিনিটে মরক্কো গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনুর ভুলে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল ব্রাজিল। আন্দ্রে সান্তোসের শট এগিয়ে আসা বুনুর হাত ফসকে পেছনে গোলমুখের দিকে চলে যাচ্ছিল। শেষ মুহূর্তে পেছনে গিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নেন তিনি।
এর দুই মিনিট পরই অবশ্য বল জালে পাঠান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তবে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়।
২৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যায় মরক্কো। বিলাল এল খাননুসের কাছ থেকে বল নিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন বুফাল। ৩৬ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ ছিল রদ্রিগোর সামনে। নেইমারের অনুপস্থিতিতে দশ নম্বর জার্সি পরা রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড কাছ থেকে নেওয়া শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।
ব্রাজিলকে গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ৬৭ মিনিট পর্যন্ত। তাও মরক্কো গোলরক্ষকের ভুলের সুবাদে। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া কাসেমিরোর শট বুনুর নাগালেই ছিল। ঝাঁপিয়ে বলের নাগাল পেলেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। বল তার শরীরের নিচ দিয়ে দিক পাল্টে জালে জড়িয়ে যায়।
সমতার পর মরক্কোর আক্রমণ আরও গতি পায়। সেই ধারয় ৭৯ মিনিটে চলে আসে গোলও। ওয়ালিদ ছেদদিরার কাছ থেকে বল পেয়ে হাফ-ভলিতে বল জালে পাঠিয়ে দেন সাবিরি। গোলরক্ষক ওয়েভারতনের সেটি দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।