রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা
টি-টোয়েন্টিতে ঠিক কত রান করলে নিশ্চিন্ত থাকা যায়? ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিগেস করে দেখুন। ২৫৮ রান করেও জিততে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। ৭ বল বাকি থাকতেই সে রানও টপকে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
২০০৬ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে রান তাড়া করার বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার ছুঁড়ে দেওয়া ৪৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৪৩৮ তুলেছিল প্রোটিয়ারা। এখন ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটা তাদেরই।
সেঞ্চুরিয়নে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক অ্যাইডেন মার্করাম। তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতেই যেন ইনিংসের তৃতীয় বলেই ব্রেন্ডন কিং কে সাজঘরে ফেরান ওয়েইন পারনেল। ব্যস, ওটুকুই। এরপর প্রোটিয়া বোলারদের তুলোধুনা করেন কাইল মায়ার্স, জনসন চার্লসরা।
মায়ার্স ২৭ বলে ৫১ করে আউট হন, অপরদিকে চলতে থাকে জনসন চার্লস শো। মাত্র ৪৬ বলে ১০ চার ও ১১ ছয়ে ১১৮ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। শেষদিকে রোমারিও শেপার্ডের ১৮ বলে ৪১ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহকে পৌঁছে দেয় ২৫৮ রানে।
এত রান করে কোথায় একটু আরামসে বল করবেন ক্যারিবীয় বোলাররা, কীসের কী! নিজেদের বোলারদের বেধড়ক পিটুনির শিকার হতে দেখে আর সহ্য হয়নি কুইন্টন ডি কক ও রিজা হেন্ড্রিকসের। দুই প্রোটিয়া ওপেনার কচুকাটাই করলেন ক্যারিবীয়দের।
মাত্র ১০.৫ ওভারে ১৫২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন এই দুজন। আউট হওয়ার আগে মাত্র ৪৪ বলে নিজের শতক তুলে নেন ডি কক। মারেন ৯ টি চার ও ৮ টি ছয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে চার্লস যা করেছেন তাই যদি ডি কক করে থাকেন তবে কাইল মায়ার্সের কাজটা করেছেন হেন্ড্রিকস। আরো বেশিই করেছেন বলা চলে। সাজঘরে ফেরার আগে এই প্রোটিয়া ওপেনার ১১ চার ও ২ ছয়ে ২৮ বলে করেন ৬৮ রান।
এরপর দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন অধিনায়ক মার্করাম। ২১ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। সেইসাথে ৭ বল বাকি থাকতেই এই পাহাড়সম লক্ষ্য সফলভাবে তাড়া করে প্রোটিয়ারা।