স্বপ্নভঙ্গ নাপোলির, ষোলো বছর পর সেমি-ফাইনালে মিলান
পারল না নাপোলি, এসি মিলানের অভিজ্ঞতার কাছে হেরে গেল নেপলসের দলটি। টানটান উত্তেজনায় ভরপুর দ্বিতীয় লেগ ১-১ গোলের সমতায় শেষ হওয়ায় দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সেমি-ফাইনালে উঠে গেছে এসি মিলান।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাতবারের বিজয়ী এসি মিলান ১৬ বছর পর সেমি-ফাইনালে উঠল। অপরদিকে প্রথমবারের মতো সেমি-ফাইনাল খেলার স্বপ্ন পূরণ হলো না নাপোলির।
প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে জেতা মিলান যে এই ম্যাচে রক্ষণাত্মক খেলবে, তা অনুমেয়ই ছিলো। আর নিজেদের মাঠে নাপোলি বাঘের মতো ঝাঁপিয়ে পড়বে, সেটিও জানাই ছিলো, হলোও তাই।
তবে নাপোলির আক্রমণ বেশ ভালোই সামলেছে মিলানের রক্ষণ।
বরং প্রতি আক্রমণে গোল করার হুমকি দিচ্ছিল তারা। মিলানের গোলপোস্ট লক্ষ্য করে নাপোলি বেশ কয়েকটি শট নিলেও বেশিরভাগই ছিলো নিষ্ফলা। খেলার ধারার বিপরীতে প্রথমার্ধের শেষ দিকে পেনাল্টি পায় মিলান। কিন্তু জিরুর দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন নাপোলি গোলরক্ষক মেরেত।
তখন মনে হচ্ছিলো, দিনটা নাপোলির হলেও হতে পারে। কিন্তু দৃড়প্রতিজ্ঞ মিলান সেটি হতে দেয়নি। পেনাল্টি মিস করা জিরুই মিলানকে এগিয়ে দেন। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ গোলের ব্যবধান পায় মিলান।
এরপর নাপোলি গোল শোধের অনেক চেষ্টা করলেও মিলানের রক্ষণভাগ ছিলো অনড়। আক্রমণের তোড়েই ৮১ মিনিটে পেনাল্টি পায় নাপোলি। জিরুর পেনাল্টি ফিরিয়ে নাপোলিকে ম্যাচে রেখেছিলেন মেরেত, এবার মিলানের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হোন মেইনান।
কাভারাতসখেলিয়ার পেনাল্টি শট ভালো হলেও তা দুর্দান্তভাবে ফেরান এই ফরাসি গোলরক্ষক। তখন গোল হয়ে গেলে বেশ জমজমাট সমাপ্তিই দেখা যেতো।
তবে ম্যাচ শেষ হওয়ার ৯০ সেকেন্ড আগে ওসহিমেনের গোল নাপোলিকে কিছুটা আশা দেখালেও শেষ পর্যন্ত আর পারেনি সিরি আ তে শীর্ষে থাকা দলটি।
দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করে এসি মিলান। ১৬ বছর আগে সর্বশেষ যখন তারা সেমি-ফাইনাল খেলেছিল, সপ্তম এবং শেষবারের মতো চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল।
সেমি-ফাইনালে মিলান ডার্বি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। প্রথম লেগে বেনফিকাকে তাদেরই মাঠে ২-০ গোলে হারিয়ে মিলানের আরেক দল ইন্টারও আছে নিরাপদ অবস্থানে।