ইন্টারকে কাঁদিয়ে সিটির ইতিহাস
ইন্টার মিলানকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন সিটি মিডফিল্ডার রদ্রি।
ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক স্টেডিয়ামে ২০০৫ সালে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল এসি মিলানের। এবার একই স্টেডিয়ামে মিলানের আরেক ক্লাব ইন্টারকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল ম্যানচেস্টার সিটি।
পেপ গার্দিওলা দায়িত্ব নেওয়ার পর এই একটি শিরোপাই ছুঁতে পারছিল না ম্যানচেস্টার সিটি। এর আগে ২০২১ সালে ফাইনালে উঠলেও চেলসির কাছে হেরে কেঁদেছেন ডি ব্রুইনা- রুবেন দিয়াসরা।
তবে এবার মুদ্রার উল্টো পিঠে আনন্দে ভেসেছেন সিটি খেলোয়াড়রা। সেইসঙ্গে দ্বিতীয় ইংলিশ ক্লাব হিসেবে ঐতিহাসিক ট্রেবল জিতল ম্যানচেস্টার সিটি। ২৪ বছর আগে সিটির নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড গড়েছিল এই কীর্তি।
ইন্টারের বিপক্ষে ফাইনালে ফেভারিট ছিলো সিটিই। কিন্তু ম্যাচের প্রথমার্ধে সেটির প্রতিফলন দেখাতে পারেনি গার্দিওলার দল। বরং ইন্টারই বিপদজনক ছিলো বেশি। প্রথমার্ধে কোনো দলই গোলের পরিস্কার কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। সিটির হয়ে আর্লিং হলান্ড একবার ইন্টার গোলকিপার ওনানার পরীক্ষা নিয়েছেন যদিও।
সিটির মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাদের অন্যতম সেরা অস্ত্র কেভিন ডি ব্রুইনা চোটে পেয়ে উঠে যাওয়ায়। ২০২১ সালের ফাইনালেও চোটের কারণে বদলি হতে হয়েছিল তাকে। তবে সেবার হারের যন্ত্রণায় পুড়লেও এবার তার সতীর্থরা জয়ের আনন্দে ভাসিয়েছেন এই বেলজিয়ান তারকাকে।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা গতি বাড়ে খেলার। সিটিও গোলের সু্যোগ তৈরি করতে থাকে। তেমনি এক সুযোগ থেকে বল ডি-বক্সের ঠিক বাইরে পড়লে অনেকটা উড়ে এসেই ডান পায়ের জোরালো শটে বল ইন্টারের জালে জড়ান সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি।
এরপর সিটি আরো সুযোগ পেলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। সমতায় ফেরার দারুণ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল ইন্টার মিলান। বিশেষ করে রোমেলু লুকাকু কীভাবে গোল করতে পারলেন, সেটি তিনিই ভালো বলতে পারবেন।
সিটি গোলপোস্ট ফাঁকা পেয়েও এডারসনের গায়ে হেড করেন এই বেলজিয়ান স্ট্রাইকার। এছাড়াও দি মার্কোর হেড বারে লেগে ফিরে আসে। একেবারে শেষ মুহূর্তে কর্নার পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি মিলানের দলটি।
শেষ পর্যন্ত পরম আরাধ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতার অপেক্ষা শেষ হয় ম্যানচেস্টার সিটির। পেপ গার্দিওলার এটি কোচ হিসেবে তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়। ক্লাব হিসেবে সিটি জিতল প্রথমবারের মতো। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে নিজেদের ইতিহাসের পাতায় অমর করে নিলেন গার্দিওলার সিটি দলের শিষ্যরা।