সামনে দাঁড়িয়ে থেকেও মার্তিনেসের দেখা পাননি জামাল ও জিকো
কলকাতা সফরের আগে বাংলাদেশে আসবেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস- এটা বেশ আগের খবরই। কিন্তু খবরটি পুরোপুরি বিশ্বাস হয়নি বাংলাদেশের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার। যে কারণে সাফ খেলে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে মার্তিনেসের আসার খবর পেয়ে এগিয়ে যান তিনি। কিন্তু সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়েই থাকতে হয় জামালকে, মার্তিনেসের সঙ্গে দেখা হয়নি তার। চেষ্টা করে দেখা করতে পারেননি জাতীয় দলের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোও।
সোমবার সকালে ঢাকায় আসেন মার্তিনেস। পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান নেক্সট ভেঞ্চার্সের একটি আয়োজনে অংশ নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এরপর কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিতে মার্তিনেস যখন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে, বাংলাদেশ ফুটবল দল তখনই ঢাকা এসে পৌঁছায়।
মার্তিনেসের আসার খবর শুনে ভিআইপি গেটের সামনে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন জামাল। কিছুক্ষণ পর মার্তিনেসকে বহন করা গাড়ি গিয়ে পৌঁছায় সেখানে। আর্জেন্টাইন তারকা এই গোলরক্ষক গাড়ি থেকে নামার সময় তাকে অনেকেই জামালের কথা বলছিলেন। উপস্থিত কয়েকজন মেসি-ডি মারিয়াদের সতীর্থকে জানাচ্ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক তার অপেক্ষায়।
তারা বলছিলেন, 'জামাল, আমাদের অধিনায়ক, অধিনায়ক।' ভিড়ের মধ্যে থাকা মার্তিনেস এটা শুনেছেন কিনা, সেটা নিশ্চিত নয়। আশেপাশে থাকা কেউও বিষয়টি কানে তোলেননি। মার্তিনেস বিমানবন্দরে প্রবেশ করার পর জামাল ভিআইপি গেটের সামনে থেকে সরে যান। এরপর একটি টেলিভিশনের সঙ্গে কথা বলে অপেক্ষা করার কারণ জানান তিনি।
জামাল বলেছেন, 'শুধু ওর চেহারা দেখতে চেয়েছি, আর কিছু নয়। শুধু দেখতে চেয়েছি আসলেই মার্তিনেস বাংলাদেশে এসেছে নাকি। আমি বিশ্বাস করিনি, কিন্তু এখন তো দেখলাম। সবাই আমাকে ওর আসার কথা বলেছে, "কিন্তু আমি বলেছি ও কেন আসবে। আমি শুনেছি ও ভারতে যাবে।" এখন শুনছি ও ভারতে যাচ্ছে।'
বাংলাদেশ ফুটবল দলের সঙ্গে মার্তিনেসের একটি সেশন থাকা উচিত কিনা জানতে চাইলে জামাল বলেন, 'এটা তো তার ব্যাপার, সে যদি চায় আমরা সবাই অ্যাভেইলেবল আছি। কিন্তু আমি মনে করি উনি অনেক ব্যস্ত। এখন ওর ছুটি চলছে, জানি না ওর কী পরিকল্পনা আছে। আমি অবশ্যই ভক্ত, প্রিমিয়ার লিগে যারা খেলে, আমি সবাইকে ফলো করি। আর উনি তো আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। আমরা সবাই ফলো করি।'
জাতীয় দলের গোলরক্ষক জিকোরও ইচ্ছা ছিল মার্তিনেসের সঙ্গে দেখার করার। কিন্তু জামালের মতো তারও আফসোস দেখা না করতে পেরে। জিকো বলেন, 'দেখা হলে ভালো হতো। কারণ বিশ্বমানের গোলরক্ষক এবং এখন বিশ্বসেরা। কিছু টিপসও নিতে পারতাম, কিন্তু পারিনি; এটা দুঃখজনক। বিশ্বকাপ জয়ে তার অনেক অবদান, দেখা হলে ভালো হতো। দেখা হলে আমার ক্যারিয়ারের জন্য অনেক একটা বড় পাওয়া হতো। ভবিষ্যতে দেখা হবে কিনা, জানি না।'