বৃষ্টি বাগড়ার ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিল আফগানিস্তান
লক্ষ্য বড় ছিল না, দারুণ বোলিংয়ে বাংলাদেশকে অল্প রানেই বেধেছিল আফগানিস্তান। যদিও ব্যাট হাতে দাপট দেখানো হয়নি সফরকারীদের। দাপট দেখালো বৃষ্টি, আর তা আফগানদের পক্ষেই গেল। বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিলো আফগানিস্তান।
বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে হেরে গেছে তামিম ইকবালের দল। প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতে ১২ ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে এটা বাংলাদেশের পঞ্চম হার। বাকি সাত ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ পুরো ইনিংস ধরে ধুঁকেছে। ম্যাচসেরা ফজলহক ফারুকী, রশিদ খান, মুজিব-উর-রহমানদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে একমাত্র তাওহিদ হৃদয় ছাড়া কেউই রান করতে পারেননি। ঘরের মাঠের দলটির ৫ জন ব্যাটসম্যান কেবল দুই অঙ্কের রান করেন।
হৃদয়ের হাফ সেঞ্চুরিতে ৪৩ ওভারের ম্যাচে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে আফগানিস্তান ২১.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৮৩ রান তোলার পর বৃষ্টি শুরু হয়। রাত ১০টার দিকে বৃষ্টি আইনে আফগানদের জয়ী ঘোষণা করা হয়।
প্রিয় ফরম্যাট, ঘরের মাঠ, প্রতিপক্ষও তুলনামূলক কম শক্তিশালী। সব মিলিয়ে দাপুটে বাংলাদেশকে দেখার অপেক্ষাতেই ছিল সবাই, কিন্তু মাঠে দেখা গেল উল্টোটা। ব্যাটে-বলে শাসন করে গেলেন আফগানরা। যে দলটি ওয়ানডে ফরম্যাটে নিয়মিত শাসন করে, তাদেরকেই দেখা গেল অচেনা চেহারায়।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে সাবধানী শুরু করে আফগানিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে ১৫.৪ ওভারে ৫৪ রান যোগ করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে ব্রেুক থ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। তার শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৪৫ বলে একটি চারে ২২ রান করেন গুরবাজ।
এরপর আফগানদের প্রতিরোধ। প্রথম উইকেট হারানোর চাপ কাটিয়ে জুটি গড়েন ইব্রাহিম ও রহমত শাহ। যদিও তাদের জুটি বড় হতে দেননি তাসকিন আহমেদ, তার শিকার ৮ রান করা রহমত। ২ উইকেট হারানো দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ইব্রাহিম ও অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি। বৃষ্টির আগ পর্যন্ত ইব্রাহিম ৫৮ বলে ৫টি চারে ৪১ ও হাশমতউল্লাহ ১৩ বলে ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা আফগানদের বোলিং তোপের মুখে হাবুডুবু খেয়েছে। হৃদয় ছাড়া বাকি সবাইকে রান তুলতে চরম সংগ্রাম করতে হয়। হৃদয় ৬৯ বলে ৩টি চারে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন, ওয়ানডেতে এটা তার তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি।
এ ছাড়া তামিম ইকবাল ১২, লিটন কুমার দাস ২৬, নাজমুল হোসেন শান্ত ১২ ও সাকিব আল হাসান ১৫ রান করেন। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। আফগান পেসার ফজলহক ২৪ রানে ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট পান রশিদ ও মুজিব। একটি করে উইকেট নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও মোহাম্মদ নবী।