সিরিজ বাঁচাতে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে
৭৫ রানের মধ্যে ৯ উইকেট, ভঙ্গুর অবস্থাই। যেকোনো দলের জন্য এটা হতাশার। তবু হতাশা থাকার কথা নয় আফগানিস্তানের। এর আগেই যে আসল কাজটা করে নিয়েছিল তারা। উদ্বোধনী জুটিতে রেকর্ড গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে দেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। চোখ ধাঁধানো ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি করা গুরবাজ ফিরলে উইকেট বৃষ্টির মধ্যেও সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ইব্রাহিম। এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে বিশাল সংগ্রহই গড়লো আফগানরা।
শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৯ উইকেটে ৩৩১ রান তুলেছে আফগানিস্তান। এই রান তাড়া করে জিতে সিরিজ বাঁচাতে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সফল রান তাড়া ৩২২। ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের দেওয়া ৩১৯ রানের লক্ষ্যে ৪ উইকেটে এই রান তোলে তারা।
যদিও চট্টগ্রামের এই মাঠে ওয়ানডেতে কখনই ৩০০'র বেশি রান তাড়া করে জেতেনি বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডেতে হেয়ে যায় বাংলাদেশ। টিকে থাকতে এই ম্যাচ জিততেই হবে তাদের, না হলে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হয়ে যাবে আফগানদের।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা আফগানিস্তান উড়ন্ত সূচনা পায়। সাবলীল শুরুর পর ব্যাট হাতে শাসন শুরু করেন গুরবাজ, তাকে দারুণ সঙ্গ দেন ইব্রাহিম। উদ্বোধনী জুটিতে ২৫৬ রান যোগ করেন তারা। যা উদ্বোথনী জুটিতে তো বটেই, ওয়ানডে যেকোনো উইকেটেই আফগানদের সেরা জুটি। উদ্বোধনী জুটিতে তাদের সেরা জুটি ছিল ১৪১ রানের, ২০১২ সালে শারজাহতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জুটিটি গড়েন করিম শফিক ও জাভেদ আহমাদী।
১৫ ওভারেই স্কোরকার্ডে ১০০ রান যোগ হয়ে যায় আফগানদের। ২০০ ছুঁতে লাগে ৩২ ওভার। আড়াই'শ পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত গুরবাজ-ইব্রাহিমের জুটির পথচলা থামে। রেকর্ড গড়া জুটি গড়ার পথে বাংলাদেশের বোলারদের শাসন করে সেঞ্চুরি তুলে নেন গুরবাজ।
শেষ পর্যন্ত ১২৫ বলে ১৩টি চার ও ৮টি ছক্কায় ১৪৫ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন ডানহাতি এই ওপেনার। ওয়ানডেতে এটা তার তৃতীয় সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয়। এই ফরম্যাটে এটা তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস, আগের সেরা ছিল ১২৭, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
৩৭তম ওভারে এই জুটি ভেঙে অবশেষে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। প্রথম উইকেট পতনে যেন খেই হারায় আফগানরা। ১০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় তারা। এরপরও চলতে থাকে উইকেট বৃষ্টি। এর মাঝেই লড়াই চালিয়ে যাওয়া ইব্রাহিম তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি।
আফগান এই ওপেনার ১১৯ বলে ৯টি চার ও একটি ছক্কায় ১০০ রান করে আউট হন। নাজিবুর্লাহ জাদরান ১০ ও শেষ দিকে ১৫ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ নবী। মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব ২টি করে উইকেট নেন। একটি উইকেট পান এবাদত হোসেন।