শেষের ব্যাটসম্যানদের লড়াইয়ে কিউইদের মাঝারি পুঁজি
শুরুতেই জোরা আঘাতে নিউজিল্যান্ডকে চেপে ধরেন মুস্তাফিজুর রহমান। ওয়ানডে অভিষেকের প্রথম ওভারে উইকেট নিয়ে কিউইদের চাপ আরও বাড়ান খালেদ আহমেদ। পরে নিউজিল্যান্ডের গড়া বড় জুটিও ভাঙেন ডানহাতি এই পেসার। সফরকারীদের বাকি ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন হাসান মাহমুদ, শেখ মেহেদি হাসান, নাসুম আহমেদরা। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি নিউজিল্যান্ড।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডে আগে ব্যাটিং করতে নামা নিউজিল্যান্ড পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করতে পারেনি। ৪৯.২ ওভারে ২৫৪ রানে অলআউট হয় তারা। এই সংগ্রহ গড়ার পথে বড় ভূমিকা রাখেন হেনরি নিকোলস ও ইনিংস সেরা রান করা টম ব্লান্ডেল। চতুর্থ উইকেটে ৯৫ রানের জুটি গড়েন এ দুজন। এরপর কোল ম্যাকনকি, ইশ সোধি, কাইল জেমিসনরা কিউইদের অনেকটা পথ এগিয়ে দেন। মূলত টেইলএন্ডারদের ব্যাটেই এই সংগ্রহ মেলে তাদের।
টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া নিউজিল্যান্ড ভালো শুরু করতে পারেনি। পরিত্যক্ত হওয়া প্রথম ওয়ানডের মতো এই ম্যাচেও ব্যাটিংয়ের শুরুতে মুস্তাফিজের তোপের মুখে পড়তে হয় কিউইদের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইল ইয়াংকে ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশের বাঁহাতি এই পেসার। উইকেটের পেচনে ক্যাচ দেওয়া কিউই এই ওপেনার ৮ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
ইনিংসের সপ্তম ওভারে আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেনকেও সাজঘর দেখিয়ে দেন মুস্তাফিজ। ১৫ বলে ২টি চারে ১২ রান করে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন ফিন। ২৬ রানে ২ উইকেট হারানো কিউইদের বিপদ বাড়ান অভিষিক্ত খালেদ। পায়ের ওপর করা তার একটি ডেলিভারিটি চিপ করতে গিয়ে তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দেন ১৯ বলে ১৪ রান করা চ্যাড বোয়েজ।
৩৬ রানে ৩ উইকেট খোয়ানো দলের হাল ধরেন নিকোলস ও ব্লান্ডেল। চতুর্থ উইকেটে ১১১ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়েন তারা। ৬১ বলে ৬টি চারে ৪৯ রান করা নিকোলসকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন খালেদ। রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে ২৬ রানের জুটি গড়েন ব্লান্ডেল। রাচিন ১০ রান করে আউট হওয়ার পর হাসানের শিকারে পরিণত হন তিনি। ডানহাতি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ৬৬ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৬৮ রানের মহাকার্যকর এক ইনিংস খেলেন।
এরপর শেষের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে আসল লড়াই করে নিউজিল্যান্ড। ১৮৭ রানে ৭ উইকেট হারানো কিউইরা শেষ ৩ উইকেটে ৬৭ রান যোগ করে। ডানহাতি অলরাউন্ডার ম্যাকনকি ৩৩ বলে ২০, পেসার জেমিসন ২৮ বলে ২০ ও অধিনায়ক লকি ফার্গুসন ১৩ বলে অপরাজিত ১৩ রান করেন। তবে এদের সবচেয়ে উজ্জ্বল লেগ স্পিনার ইশ সোধি। 'মানকাড' করে আউট করলেও লিটন কুমার দাস তাকে ফিরিয়ে আনেন।
১৭ রানে জীবন ফিরে পেয়ে আরও ১৮ রান করেন সোধি। ৩৯ বলে ৩টি ছক্কায় ৩৫ রান করেন তিনি। এই সিরিজে বাংলাদেশের বোলিং কাণ্ডারী হয়ে ওঠা মুস্তাফিজ ১০ ওভারে ৫২ রানে ২টি উইকেট নেন। অভিষিক্ত খালেদ ৯.২ ওভারে ৬০ রান খরচায় ৩টি উইকেট পান। ১০ ওভারে ৪৫ রানে স্পিনার শেখ মেহেদি হাসানের শিকারও ৩ উইকেট। নাসুম আহমেদ ও হাসান মাহমুদ একটি করে উইকেট পান।