ভারতের আগুনে বোলিংয়ে অল্পতেই শেষ পাকিস্তানের ইনিংস
ভারতের পেসাররা শুরুতে যেন একটু সময় নিলেন, বুঝতে চাইলেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের খেলার ধরন। পাকিস্তানের সংগ্রহ দেড়শ পেরোনোর পর আগ্রাসী হয়ে উঠলেন তারা, আর নিশানা করলেন অফ স্টাম্প। মোহাম্মদ সিরাজ ও জাসপ্রিত বুমরাহ কেবল অফ স্টাম্পেই আঘাত হেনে ফিরিয়ে দিলেন বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাদাব খানকে। সঙ্গে থাকলো হার্দিক পান্ডিয়া এবং দুই স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা ও কুলদীপ যাদবের তোপ। ১৫৪ রানে ২ উইকেট থেকে পাকিস্তান পরের ৮ উইকেট হারালো মাত্র ৩৬ রানেই।
শনিবার আহমেদোবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ভারতের অসাধারণ বোলিংয়ের সামনে ৪২.৫ ওভারে ১৯১ রানেই গুটিয়ে গেছে পাকিস্তানের ইনিংস। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে এটা পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। স্কোরকার্ডে যে রান জমা করলো বাবর আজমের দল, তাতে বলাই যায় যে; বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলটির বিপক্ষে এবারও জয়হীন থাকতে হবে তাদের। বিশ্বকাপে আগের সাত ম্যাচের সবকটিতেই ভারতের বিপক্ষে হারে পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা একেবারে মন্দ ছিল না। উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান যোগ করেন দুই ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক ও ইমাম-উল-হক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা শফিককে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সিরাজ। ডানহাতি এই পেসারের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে আউট হওয়ার আগে ২৪ বলে ২০ রান করেন শফিক।
কিছুক্ষণ পর ইমামও থামেন, হার্দিক পান্ডিয়ার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়া বাঁহাতি এই ওপেনার ৩৮ বলে ৬টি চারে ৩৬ রান করেন। ৭৩ রানে ২ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন অধিনায়ক বাবর ও রিজওয়ান। তৃতীয় উইকেটে ১০৩ বলে ৮২ রান যোগ করেন তারা। কিন্তু দলীয় ১৫৫ রানে ভারতের পেসার সিরাজ স্টাম্প উপড়ে বাবরকে ফিরিয়ে দিলে এলোমেলো হয়ে পড়ে পাকিস্তানের ইনিংস। ৫৮ বলে ৭টি চারে ৫০ রান করে আউট হন বাবর।
পরের দুটি আঘাত ভারতের চায়না ম্যান বোলার কুলদীপের। চার রানের ব্যবধানে তিনি ফিরিয়ে দেন সৌদ শাকিল ও ইফতিখার আহমেদকে। কোণঠাসা হয়ে পড়া পাকিস্তানকে আরও চেপে ধরেন বুমরাহ। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা এই পেসার তিন রানের ব্যবধানে রিজওয়ান ও শাদাবের উইকেট তুলে নেন। অফ কাটারে রিজওয়ানকে পরাস্থ করা বুমরাহ অপ স্টাম্প ভেঙেই শাদাবকে ফেরান। ৬৯ বলে ৭টি চারে ৪৯ রান করেন রিজওয়ান।
২০ রানের মধ্যে বাকি তিন উইকেট হারায় পাকিস্তান। শেষ দিকে কেবল হাসান আলী ১১ রান করেন। শাকিল, ইফতিখার, শাদাব, নওয়াজরা দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। ভারতের হয়ে বোলিং করা ছয় জনের মধ্যে পাঁচজন ২টি করে উইকেট পান। আগুনে বোলিং করা বুমরাহ ৭ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন। ৮ ওভারে ২ উইকেট নিতে সিরাজের খরচা ৫০ রান। পান্ডিয়া ৬ ওভারে ৩৪ রানে পান ২ উইকেট। ২ উইকেট করে শিকার করা কুলদীপ ও জাদেজা যথাক্রমে ৩৫ ও ৩৮ রান খরচা করেন। কেবল শার্দুল ঠাকুর কোনো উইকেট পাননি।