চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তান যাবে না ভারত!
প্রতিবেশি দুই দেশ ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। রাজনৈতিক বৈরীতা থেকে শুরু করে সীমান্ত বিরোধ; সবখানেই যুদ্ধংদেহী অবস্থান দেশ দুটির। যার প্রভাব পড়ে ক্রিকেটেও, দীর্ঘদিন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলা হয় না এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর। এ কারণে ধরেই নেওয়া হয়েছিল আগামী বছর অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে না ভারত। অবশেষে সেটাই হতে যাচ্ছে।
আগামী বছর পাকিস্তানের তিনটি শহর লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি ও করাচিতে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর। কিন্তু পাকিস্তানে গিয়ে টুর্নামেন্টটিতে খেলতে চায় না তাদের ভারত। নিজেদের ম্যাচগুলো শ্রীলঙ্কা বা দুবাইয়ে খেলতে চায় বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। নিজেদের ইচ্ছার কথা আইসিসিকে জানাবে বিসিসিআই। বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা এই তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত ক্রিকেট দল। ২০১৩ সালে সর্বশেষ দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলে দুই দল, খেলা হয় ভারতে। এরপর থেকে শুধু আইসিসি বা এসিসির টুর্নামেন্টে দেখা হয় দল দুটির। গত বছর পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হয় এশিয়া কাপ, কিন্তু দেশটিতে যায়নি ভারত। 'হাইব্র্রিড মডেল' বানিয়ে শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপের ম্যাচগুলো খেলে তারা।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেলার ব্যাপারেও একই অবস্থান ভারতের। তাই এশিয়া কাপের মতো হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ আয়োজনের জন্য আইসিসিকে জানাবে বিসিসিআই। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বিসিসিআইর এক কর্মকর্তা বলেছেন, '২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে না ভারতীয় দল। দুবাই বা শ্রীলঙ্কার মাটিতে ভারতের ম্যাচগুলো আয়োজন করার জন্য আইসিসিকে অনুরোধ করবে বিসিসিআই।'
ইতোমধ্যে আট দলের অংশগ্রহণের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ, সূচি ও ভেন্যুর একটি খসড়া তৈরি করে আইসিসির কাছে পাঠিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে চায় পিসিবি। প্রস্তাবিত খসড়ায় 'এ' গ্রুপে পাকিস্তানের সঙ্গে আছে বাংলাদেশ, ভারত ও নিউজিল্যান্ড। অন্য গ্রুপে আছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান।
এখনও পিসিবির প্রস্তাবিত পরিকল্পনা নিয়ে কিছু জানায়নি আইসিসি। সব দেশের বোর্ড প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা হলেও এখন পর্যন্ত বিসিসিআইর সাথে আলোচনার অগ্রগতি নেই আইসিসির। বিশ্ব ক্রিকেট সংস্থার এক কর্মকর্তা এরআগে পিটিআইকে বলেছিলেন, 'চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী দেশের সব বোর্ড প্রধানরা (বিসিসিআই বাদে) টুর্নামেন্ট আয়োজনে সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিয়েছে। তবে নিজ দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর আইসিসিকে অগ্রগতি জানানোর কথা বলেছে বিসিসিআই।'