বিশ্বকাপ খেলবেন, কখনোই ভাবেননি রিকশাচালকের ছেলে সিরাজ
বাবা ছিলেন রিকশাচালক, কখনও বিশ্বকাপে খেলবেন এই স্বপ্ন ঘুণাক্ষরেও দেখেননি মোহাম্মদ সিরাজ।
অথচ সেই সিরাজই এখন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নে অন্যতম সেরা অস্ত্র। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে আহমেদাবাদের এক লাখ ৩২ হাজার দর্শকের সামনে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন এই ডানহাতি পেসার।
পাকিস্তান ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক এবং হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া অধিনায়ক বাবর আজমকে আউট করেন সিরাজ। পাকিস্তানের স্কোর একসময় যেখানে ছিলো দুই উইকেট হারিয়ে ১৫৫, সেই তারাই সব উইকেট হারায় ১৯১ রান তুলতেই। প্রথম তোপটা দেগেছেন সিরাজই।
হায়দ্রাবাদে গরীব রিকশাওয়ালা বাবার ঘরে জন্ম নেওয়া সিরাজ নিজেই বলেছেন, বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন তিনি কখনোই দেখেননি, 'আমার বাবা ছিলেন দরিদ্র। রিকশাচালকের ঘরে জন্ম হওয়ায় আমি এতবড় স্বপ্ন দেখতাম না। কিন্তু আমি এখন এখানে।'
স্বপ্ন না দেখলেও যেহেতু বিশ্বকাপ খেলছেনই, নিজের সবটুকু ঢেলে দিতে চান ২৯ বছর বয়সী এই পেসার, 'আমি সবসময় নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি৷ আমি এখন বিশ্বকাপে খেলছি এবং এটি আমার জন্য গর্বের বিষয়।'
সিরাজ প্রথম নজরে আসেন আইপিএল দিয়ে। সেখান থেকে ২০১৯ সালে ওয়ানডে ও টেস্টে অভিষেক হয় তার। এরপর থেকেই ভারতের পেস বোলিং আক্রমণের অন্যতম ভরসার জায়গা হয়ে আছেন তিনি। এশিয়া কাপের ফাইনালে ক্যারিয়ার সেরা ২১ রানে ছয় উইকেট নিয়েছেন। শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ৫০ রানে গুটিয়ে দিয়ে সহজেই ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।