মালদ্বীপকে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ডের ফিরতি লেগে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে বাংলাদেশ। আজ বসুন্ধরার কিংস অ্যারেনাতে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে দশজনের দল নিয়ে ৪০ মিনিট খেলেও জিতেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল।
প্রথম লেগের ম্যাচ ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয়েছিল। দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে আজ ৫৮ মিনিটে সোহেল রানা লাল কার্ড দেখলে দশ জনের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। এরপরেও আক্রমণাত্মক খেলে জিতেছে কাবরেরার দল।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলতে হলে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপের সামনে। নিজেদের মাঠ আর দর্শকের সামনে জয় হয়েছে বাংলাদেশেরই। রাকিব হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে ২০ বছর পর ঘরের মাঠে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে জায়গা করে নিয়েছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। সবশেষ ২০০৩ সাফে মালদ্বীপকে নিজেদের মাঠে হারিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল।
দারুণ এই জয়ে বাছাইপর্বের 'আই' গ্রুপে জায়গা করে নিয়েছে লাল-সবুজের দল। এই গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন ও লেবানন আগে থেকেই আছে। এবার বাছাইপর্বে সেই গ্রুপে খেলবে কাবরেরার দল। ১৬ নভেম্বর মেলবোর্নে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
ম্যাচে মালদ্বীপ শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে। তবে প্রথম চেষ্টাতেই সাফল্য বাংলাদেশের। দলীয় এক প্রচেষ্টাতে ১১ মিনিটে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের। সাদউদ্দিনের বাড়িয়ে দেওয়া বল বাইরে যাওয়ার আগেই দারুণ এক কাট ব্যাক করেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। চলন্ত বলে দারুণ ভলিতে বলকে জালে জড়ান রাকিব হোসেন।
তবে মালদ্বীপ এই গোল শোধ করেছে ৩৬ মিনিটে। হামজার কর্নার বাংলাদেশের ফাহিমের মাথায় লেগে ফাঁকায় বল পান ইব্রাহিম আইসাম। ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান মালদ্বীপ মিডফিল্ডার।
বিরতি থেকেই বাংলাদেশকে গোলের আনন্দে ভাসান একের পর এক সুযোগ নষ্ট করা ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ৪৭ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে সাদউদ্দিনের শট প্রথম দফায় ফেরান মালদ্বীপ গোলরক্ষক। ফিরতি বলে সোহেল রানার পা হয়ে বল পান ফাহিম। ডান পায়ের শটে বল জালে জড়াতে এ যাত্রায় ভুল হয়নি বাংলাদেশি ফরোয়ার্ডের। জাতীয় দলের হয়ে তুলে নেন প্রথম গোল।
ফাহিমের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর মো. সোহেল রানার শিশুতোষ ভুলে বিপাকে পড়ে কাবরেরার দল। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে মালদ্বীপের অর্ধে অহেতুক ফাউল করে বসলেন সোহেল। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে তাঁকে মাঠ থেকে বের করে দেন রেফারি।
সমতায় ফিরতে শেষ সময়ে বাংলাদেশকে কঠিন চাপে ফেলে মালদ্বীপ। এই সময়ে ক্রমেই স্বাগতিকদের অর্ধে আক্রমণ পর আক্রমণ করে গেছে মালদ্বীপ। এর মাঝেও ৮৯ মিনিটে বল জালে জড়িয়েছিলেন বিশ্বনাথ ঘোষ তবে রেফারি বাজান ফাউলের বাঁশি। শেষ দিকে মুজিবর রহমান জনিকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন মালদ্বীপ ডিফেন্ডার আহনাফ রশিদ। শেষ সময়টকু স্নায়ু ধরে রেখে বাংলাদেশ সমর্থকদের উল্লাসে ভাসান রাকিব-বিশ্বনাথরা।