বিশ্বকাপে নিজেদের সেরা উদ্বোধনী জুটি গড়ার পর বিপদে বাংলাদেশ
ভারতীয় পেসারদের শুরু তোপ সামলে দারুণ ব্যাটিং করেন লিটন কুমার দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। তাদের ব্যাটে বিনা উইকেটে ৯৩ রান তোলে বাংলাদেশ, যা বিশ্বকাপে তাদের সেরা উদ্বোধনী জুটি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আগের সেরা উদ্বোধনী জুটি মেহরাব হোসেন অপি ও শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুতের, ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৯ রান যোগ করেন তারা।
দীর্ঘদিন পর এই জুটি পেরিয়ে যাওয়ার দিন বড় সংগ্রহের পথেই ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৫১ রান করা তানজিদ তামিমের বিদায়ের পর এলোমেলো হয়ে পড়ে তাদের ব্যাটিং লাইন আপ। দুই ভারতীয় স্পিনার কুলদীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে তোপ দাগেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজও। একে একে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন কুমার দাস। বিনা উইকেট ৯২ থেকে ১৩৭ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এর মধ্যে কেবল লিটন রানের দেখা পেয়েছেন, ডানহাতি এই ওপেনার ৮২ বলে ৭টি চারে ৬৬ রান করেন।
অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও তরুণ তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে চাপ কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বাংলাদেশ। ৩৩ ওভার শেষে ৪ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৬১ রান। মুশফিক ১৭ ও হৃদয় ১২ রানে ব্যাটিং করছেন।
দারুণ হাফ সেঞ্চুরির পর থামলেন তানজিদ তামিম
শুরুতে রান তুলতে সংগ্রাম করতে হয় তানজিদ হাসান তামিমকে। ভারতের পেসারদের বিপক্ষে ঠিকভাবে ব্যাটে-বলই করাতে পারছিলেন না বাংলাদেশের তরুণ এই ওপেনার। কিন্তু একটু সময় নিয়ে উইকেটে থিতু হয়ে অসধারণ ব্যাটিং করলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। গত এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া তানজিদ তুলে নিলেন ওয়ানডেতে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি, স্বভাবতই বিশ্বকাপেও এটা তার প্রথম ৫০।
যদিও তার ইনিংস আর বড় হয়নি। ৪১ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করা বাংলাদেশ ওপেনার ৪৩ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫১ রান করে ভারতীয় চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ যাদবের শিকারে পরিণত হন। একই ইনিংসে দুই রূপে দেখা গেল তাকে। শুরুতে এলেমেলো লাগলেও সময় নিয়ে থিতু হয়ে পরে বুমরাহ, শার্দুলদের মতো বোলারদের বলে ছক্কা মারেন তানজিদ।
তার বিদায়ে উইকেটে গেছেন সাকিব আল হাসানের অবর্তমানে নেতৃত্ব পাওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত। লিটন ও তার ব্যাটে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। ১৭ ওভার শেষে ১ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯৮ রান। লিটন ৪১ ও শান্ত ৩ রানে ব্যাটিং করছেন।
বিনা উইকেট ৮০ ছাড়িয়ে বাংলাদেশ
শুরুতে ভারতের দুই পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজের বিপক্ষে রান তুলতে ভুগতে হয় বাংলাদেশের ওপেনারদের। ৫ ওভার পর্যন্ত অতি সাবধানী ব্যাটিং করেন লিটন কুমার দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। এরপর দাপুটে ব্যাটিংয়ে ক্রমেই রান তোলার গতি বাড়াতে শুরু করেন এ দুজন।
উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া বাংলাদেশের এই দুই ওপেনার অসাধারণ ব্যাটিং করে যাচ্ছেন। তাদের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পাওয়া বাংলাদেশ ১৩ ওভারে বিনা উইকেট ৮২ রান তুলেছে। লিটন ৪১ বলে ৩৫ ও তরুণ ব্যাটসম্যান ৩৭ বলে ৪৪ রানে ব্যাটিং করছেন।