ইফতিখারের শেষ দিকের ঝড়ে পাকিস্তানের লড়াকু পুঁজি
ইনিংস সেরা রান করা বাবর আজম যখন আউট হন, ৪১.৫ ওভারে শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ তখন ২০৬ রান। সেভাবে উইকেট না হারালেও আফগানিস্তানের তিন স্পিনার মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান ও নুর আহমেদের বিপক্ষে রান তুলতে সংগ্রাম করতে হচ্ছিল পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানকে। তখন মনে হচ্ছিল ২৫০ রান পেরোনেই কঠিন হবে তাদের জন্য। কিন্তু শেষ দিকে শাদাব খানের সময় উপযোগী ব্যাটিং ও ইফতিখার আহমেদের খুনে ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ গড়লো তারা।
সোমবার চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ২৮২ রান তুলেছে পাকিস্তান। আবদুল্লাহ শফিকের পর হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান অধিনায়ক বাবরও। শাদাব দ্রুততার সঙ্গে রান তুলতে না পারলেও ইফতিখার ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। চার-ছক্কার ফুলঝুরি সাজিয়ে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন ডানহাতি অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। ৪০ ওভার পর্যন্ত রান তুলতে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তান শেষ ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৯১ রান তোলে।
শুরুটা মন্দ ছিল না পাকিস্তানের, উদ্বোধনী জুটি ১০.১ ওভারে ৫৬ রান যোগ করেন শফিক ও ইমাম-উল-হক। ১৭ রান করা ইমামের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে দলকে ১১০ রান পর্যন্ত নিয়ে যান শফিক ও বাবর। ৭৫ বলে ৫টি চারে ও ২টি ছক্কায় ৫৮ রান করে শফিককে ফেরান আফগান চায়নাম্যান বোলার নুর। কিছুক্ষণ পর মোহাম্মদ রিজওয়ানকেও সাজঘর দেখিয়ে দেন তরুণ এই স্পিনার।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে রান তোলার গতি আরও কমে যায় পাকিস্তানের। সউদ শাকিলকে নিয়ে এগোতে থাকেন বাবর, চতুর্থ উইকেটে ৫৭ বলে ৪৩ রান যোগ করেন তারা। শাকিল ফেরার পর শাদাব খানের সঙ্গে ৪৭ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়েন বাবর। ৪২তম আউট হওয়ার আগে ৯২ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৭৪ রান করেন বাবর। বিশ্বকাপে এটা তার পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি, এবারের আসরে দ্বিতীয়।
এর পরের উইকেটে মূলত এগিয়ে যায় পাকিস্তান। ষষ্ঠ উইকেটে ৪৫ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন শাদাব ও ইফতিখার। শাদাব দেখেশুনে খেললেও তাণ্ডব চালান ইফতিখার। ২৭ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪০ রান করেন তিনি। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় শাদাবও ৪০ রান করেন। ১০ ওভারে ৪৯ রানে ৩টি উইকেট নেন নুর। নবী ১০ ওভারে মাত্র ৩১ রানে একটি উইকেট নেন। উইকেট না পেলেও রশিদ ১০ ওভারে ৪১ রান খরচা করে পাকিস্তানকে চাপে রাখেন। আফগান পেসার নাভিন-উল-হক ২টি এবং আজমতউল্লাহ ওমরজাই একটি উইকেট পান।