হেড-ওয়ার্নারের তাণ্ডবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অজিদের বিশাল সংগ্রহ
টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে এখন আফসোসই হওয়ার কথা টম লাথামের। কিউই অধিনায়কের এই সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হয়েই ফিরে এসেছে বলা চলে। ধর্মশালার ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে আগে ব্যাট করে তান্ডব চালিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা।
নির্ধারিত ৫০ ওভার অবশ্য খেলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ৪৯.২ ওভার খেলেই যা রান তুলেছেন হেড-ওয়ার্নাররা, তাতে বাকি চার বল না খেলতে পারায় আফসোস থাকার কথা নয় তাদের। সবগুলো উইকেট হারিয়ে ৩৮৮ রানে থেমেছে অজিদের রানের ঘোড়া। এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৩৬০ এর বেশি রান তুলল প্যাট কামিন্সের দল।
অজিদের এই রান পাহাড়ে চড়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নারের। এবারের বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা হেড মাত্র ৫৯ বলে করেছেন সেঞ্চুরি। টানা তৃতীয় সেঞ্চুরির হাতছানি দিচ্ছিল ওয়ার্নারকে। তবে সেটি করতে পারেননি তিনি।
দুই ওপেনার মিলে মাত্র ১৯ ওভারে অজিদের এনে দেন ১৭৫ রানের জুটি। ফিলিপসের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ওয়ার্নার করেছেন ৬৫ বলে পাঁচ চার ও ছয় ছয়ে ৮১ রান। আরেক ওপেনার হেড ৫৯ বলে সেঞ্চুরি করার পর আউট হয়েছেন ৬৭ বলে ১০ চার ও সাত ছয়ে ১০৯ রান করে।
এই দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর কিছুটা কমে আসে অস্ট্রেলিয়ার রান তোলার গতি। তবে শেষদিকে আবারও ঝড় তোলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, প্যাট কামিন্সরা। ম্যাক্সওয়েলের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৪১ রান, পাঁচটি চার ও দুটি ছয় মেরেছেন তিনি। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ১৪ বলে চার ছয় ও দুই চারে করেছেন ৩৭ রান। এছাড়া জস ইনলিস ২৮ বলে ৩৮ রান করেন।
বেধড়ক মার খাওয়ার দিনেও কিউইদের হয়ে সফল ছিলেন গ্লেন ফিলিপস। মাত্র ৩৭ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন এই পার্টটাইম স্পিনার। এছাড়া ট্রেন্ট বোল্টও শেষদিকে তিনটি উইকেট নেন। দুটি উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার।
জিততে হলে নিউজিল্যান্ডকে ভাঙতে হবে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড। দুই তাসমান সাগর পারের প্রতিবেশির লড়াইয়ে আপাতত শক্ত অবস্থানে আছে অস্ট্রেলিয়াই।