বড় হারেই বিদায় পাকিস্তানের, জয় দিয়ে শেষ ইংল্যান্ডের
বড় হার দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হলো পাকিস্তানের। আগেই বাদ পড়া ইংল্যান্ডের কাছে ৯৩ রানে হেরেছে বাবর আজমের দল। ভুলে যাওয়ার মতো বিশ্বকাপ ইংল্যান্ড শেষ করল জয় দিয়েই।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ইংলিশদের দেওয়া ৩৩৮ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই খেই হারায় পাকিস্তান। দুই ওপেনার ফিরে যান ১০ রানের মধ্যে। এরপর অধিনায়ক বাবর আজম ও রিজওয়ান ৫১ রানের জুটি গড়লেও তা পাকিস্তানকে ভরসা দিতে পারেনি। বাবর ৩৮ ও রিজওয়ান ৩৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
পাকিস্তানের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করেছেন আঘা সালমান। ৪৫ বলে ৫১ রান করেন এই অলরাউন্ডার। ইংল্যান্ডের হয়ে ৫৬ রান তিনটি উইকেট নিয়েছেন ডেভিড উইলি। দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন আদিল রশিদ, মঈন আলি ও অ্যাটকিনসন।
এর আগে টসের ফলাফলেই ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেছে পাকিস্তানের। তাদের ব্যাটিং ইনিংস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ও নিশ্চিত হয়ে গেছে দলটির।
টসে জিতে আগে ব্যাট করে বিশাল স্কোর গড়ে ইংল্যান্ডকে অল্প রানে গুটিয়ে দিতে পারলে সেমি-ফাইনালে খেলার একটা সুযোগ থাকতো পাকিস্তানের। কিন্তু এই ম্যাচ জিতলেও কোনো কাজ হতো না, টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে বাবর আজমের দলের।
কাগজে-কলমে যে একটা সুযোগ ছিল, সেটি দেখে হয়তো হেসেছেন স্বয়ং পাকিস্তানের খেলোয়াড়রাই। ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩৩৮ রানের লক্ষ্য ৬.৪ ওভারের মধ্যে তাড়া করতে হতো বাবর আজমের দলকে।
সব বলে ছয় হাঁকালেও পাকিস্তান সর্বোচ্চ ২৪০ রান করতে পারতো। অর্থাৎ বিদায় নিশ্চিতই ছিল তাদের। অবশ্য ইডেন গার্ডেনের স্লো পিচে ইংলিশদের দেওয়া ৩৩৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ম্যাচ জেতাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় পাকিস্তানের জন্য।
৫০ ওভার খেলে নয় উইকেট হারিয়ে ৩৩৭ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। রান পেয়েছেন প্রথম চার ব্যাটারই। সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছেন বেন স্টোকস। ৭৬ বলে ১১ চার ও দুই ছয়ে এই ইনিংস খেলেছেন তিনি।
জো রুট ৭২ বলে চার চারে ৬০, জনি বেয়ারস্টো ৬১ বলে সাত চার ও এক ছয়ে করেছেন ৫৯ রান। এছাড়া মালান ৩১, হ্যারি ব্রুক ৩০ ও অধিনায়ক বাটলার করেছেন ২৭ রান।
পাকিস্তানের হয়ে ৬৪ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন শাহিন আফ্রিদি ও মোহাম্মদ ওয়াসিম।