চোখে চোখ রেখে লেবাননের বিপক্ষে লড়াই করল বাংলাদেশ
প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭-০ গোলের বিশাল হার, দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষও যোজন যোজন এগিয়ে থাকা লেবানন। লড়াই করার লক্ষ্যই ছিল বাংলাদেশের, কিন্তু শুধু লড়াই-ই না, বলতে গেলে জয়ের সমান এক ড্র ছিনিয়ে এনেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল।
কিংস অ্যারেনাতে পুরো ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত কাউন্টার অ্যাটাকিং ফুটবলের প্রদর্শনী দেখিয়েছে বাংলাদেশ দল, লেবাননকে মোটেও ধারে-ভারে অনেক বেশিই এগিয়ে থাকা কোনো দলই মনে হতে দেননি হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রায় ৮০ মিনিট সমানে সমানে লড়েও শেষ দিকে দুই গোল খেয়ে হারের হতাশায় ডুবেছিলেন তারিক কাজি-জামাল ভূঁইয়ারা। কিংস অ্যারেনাতে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের দ্বিতীয় পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েছিলেন বিশ্বনাথ-মিতুল মারমারা।
কিন্তু এবার আর হাল ছেড়ে না দিয়ে র্যাংকিংয়ের ১০৪ নাম্বার দল লেবাননকে চেপে ধরে পয়েন্ট আদায় করেছে লাল-সবুজের দল। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ভাবে। তবে গোল করার পরিস্কার সুযোগ না পেলেও বেশ কয়েকবার লেবাননের ডি-বক্সে হানা দিয়েছেন মোরসালিন-ফাহিমরা। বিপরীতে লেবাননও গোল করার তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলা আরো বেশি আক্রমণাত্মক হয়, দুদলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। প্রথম বাজিমাতটা লেবাননই করে, ৬৭ মিনিটে মাজেদ ওসমান এগিয়ে দেয় সফরকারীদের। গোলটি অনেকটাই দুর্ভাগ্যজনক ছিল বাংলাদেশের জন্য, বেশ কয়েকবার সুযোগ পেয়েও ডি-বক্সের ভেতর থেকে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা। সেখান থেকেই ফাঁকা পোস্টে বল জালে জড়ান মাজেদ।
তবে পাঁচ মিনিটও সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি লেবানন, ৭২ মিনিটে কিংস অ্যারেনা কাঁপিয়ে বাংলাদেশকে সমতায় ফেরান শেখ মোরসালিন। ডি-বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ এক দূরপাল্লার শটে লেবাননের জাল কাঁপান মোরসালিন। এরপর আরও একটি সুযোগ পেয়েছেন এই ফরোয়ার্ড, তবে সেটি কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ১-১ গোলের সমতায় শেষ হলেও এটিকে জয়ের চেয়ে কম ভাবার সুযোগ নেই বাংলাদেশের জন্য। বিশেষ করে শক্তিশালী লেবাননের বিপক্ষে যে ধরনের ফুটবল উপহার দিয়েছেন হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা তাতে ভবিষ্যতে এমন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয় খুব বেশি দূরে নেই বলেই মনে হতে পারে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দ্বিতীয় পর্বে নিজেদের প্রথম পয়েন্টটিও পেয়েছে বাংলাদেশ।