বৃষ্টি শেষে ল্যাথাম-ইয়াংয়ের শাসন, বাংলাদেশের সামনে বড় লক্ষ্য
টসের পর বৃষ্টির হানা, ম্যাচ শুরু হলো প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পর। বল হাতে দলকে দাপুটে শুরু এনে দিলেন শরিফুল ইসলাম। এরপর উইল ইয়াং ও টম ল্যাথামের প্রতিরোধ। বাংলাদেশের বোলাররা দীর্ঘক্ষণ ধরে এই জুটি ভাঙতে না পারলেও তাদের কয়েক দফায় থামতে হলো বৃষ্টি বাধায়। থেকে থেকে ঝরা বৃষ্টির কারণে ওভার কমলো আর ব্যাট চালানোর গতি বাড়লো ল্যাথাম-ইয়াংয়ের। এ দুজনের ব্যাটে বড় সংগ্রহই পেল নিউজিল্যান্ড।
রোববার ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে আগে ব্যাটিং করা নিউজিল্যান্ড ৩০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৩৯ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েছে। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২৪৫ রান। তিনবার বৃষ্টির হানায় ম্যাচ নেমে আসে ৩০ ওভারে। তৃতীয় দফায় বৃষ্টি নামলে নতুন করে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করা হয়। ওভার বেশি না থাকায় ইয়াংকে এক পাশে রেখে ঝড়ো ব্যাটিং চালিয়ে যান চার হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়া ল্যাথাম। যদিও আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে, ৯০ পেরিয়ে আউট হন কিউই অধিনায়ক।
উইকেটে গিয়েই খুনে ব্যাটিং শুরু করেন মার্ক চাপম্যান, যদিও বেশিক্ষণ চলেনি তা। শুরুর ধাক্কা সামলে ল্যাথামের সঙ্গে বড় জুটি গড়া ইয়াংও শেষ দিকে ঝড় বইয়ে দেন। ল্যাথাম না পারলেও ডানহাতি এই ওপেনার তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। ১৯.২ ওভার শেষে ২ উইকেটে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ১০৮ রান। ল্যাথাম ও ইয়াংয়ের ব্যাটে শেষের ১০.৪ ওভারে ১৩১ রান পায় কিউইরা।
অথচ বল হাতে দুর্বার শুরু হয় বাংলাদেশের। প্রথম ওভারেই কিউইদের দুই উইকেট তুলে নেন শরিফুল ইসলাম। রাচিন রবীন্দ্র ও হেনরি নিকোলসকে ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার। কিন্তু এরপর থেকে থেকে বৃষ্টির বিরতি ও ইয়াং-ল্যাথামের হার না মানা মনোভাব; সব মিলিয়ে ছন্দ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। কিউইদের পরের ৫টি উইকেট যে পড়েছে, তা একেবারে শেষ দিকে। তৃতীয় উইকেটে ১৪৫ বলে ১৭১ রানের জুটি গড়েন ল্যাথাম ও ইয়াং। বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটে এটাই তাদের সেরা জুটি।
ঠিক সময়েই টস হয়, কিন্তু বৃষ্টির হানায় ম্যাচ ৪টায় শুরু হয়নি। ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট পর শুরু হয় খেলা, কমানো হয় ৪ ওভার। ব্যাট হাতে নেমেই বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। দারুণ দুই ডেলিভারিতে রাচিন ও নিকোলসকে ফিরিয়ে দেন শরিফুল। দিকহারা দলের হাল ধরেন ল্যাথাম-ইয়াং, সহজেই চাপ কাটিয়ে তোলেন তারা। ১৩.৫ ওভারে ২ উইকেটে কিউইদের সংগ্রহ যখন ৬৩ রান, তখন আবার বৃষ্টি শুরু হয়। এবার কমানো হয় ৬ ওভার, ম্যাচ নেমে আসে ৪০ ওভারে।
পরের দফায় বেশিক্ষণ খেলা হয়নি, ১৯.২ ওভারে তৃতীয় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়। এবার ১০ ওভার কমানো হয়। ৩০ ওভারের বাকি তখন ১০.৪ ওভার। হিসাবটা মিলিয়ে দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন ল্যাথাম-ইয়াং। মেহেদী হাসান মিরাজের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৭৭ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৯২ রান করেন। রান আউটে কাটা পড়া ইয়াং ৮৪ বলে ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১০৪ রানেল ঝলমলে ইনিংস খেলেন। ১১ বলে ২০ রান করেন চাপম্যান। এই তিনজনই দুই অঙ্কের রান করেন। কিউইদের দুজন শূন্য ও তিনজন ১ রান করে করেন। শেষ দিকে তাদের চারজন ব্যাটসম্যান রানআউট হন।