ঢাকাকে পেলেই জেতে সিলেট স্ট্রাইকার্স
হারে শুরু, হারেই বসবাস; পাঁচ ম্যাচ পর্যন্ত সিলেট স্ট্রাইকার্সের গল্প এমনই ছিল। হারতে হারতে হাঁপিয়ে ওঠে দলটি। টানা পাঁচ হারের পর দুর্দান্ত ঢাকার সঙ্গে দেখা হয় তাদের। সেই ম্যাচে ১৫ রানের জয়ে হারের বৃত্ত ভাঙে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বর্তমান রানার্সআপ সিলেট। পরের ম্যাচে আবারও হার। কিন্তু অষ্টম ম্যাচে ঢাকাকে প্রতিপক্ষে হিসেবে পেয়েই ঘুরে দাঁড়ালো সিলেট, তুলে নিলো আরেকটি জয়। ব্যাপারটা এমন যেন, ঢাকাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেলেই জেতে সিলেট।
বিপিএলে বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানির দল থেকে ছয় নম্বরে উঠেছে তারা। ৮ ম্যাচে ২টি ম্যাচ জিতেছে সিলেট। তাদের পাওয়া দুটি জয়ই ঢাকার বিপক্ষে। জয়ে বিপিএল শুরু করা ঢাকা টানা ছয় ম্যাচে হারলো। সাত ম্যাচে এক জয়ে টেবিলের তলানির দল তারা। ছয়টি করে ম্যাচ হারায় সিলেট ও ঢাকার প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনা তলানিতে নেমে গেছে।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে ঢাকা। ওপেনার নাঈম শেখ ও সাইফ হাসানের লড়াইয়ের পরও ৮ উইকেটে ১২৪ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস। রেজাউর রহমান রাজা, সামিত প্যাটেলদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে ঢাকার আর কোনো ব্যাটসম্যান সুবিধা করতে পারেননি। জবাবে নাজমুল হোসেন শান্তর পর ম্যাচসেরা বেনি হাওয়েল ও রায়ান বার্লের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৬ বল হাতে রেখে জেতে সিলেট।
লক্ষ্য তাড়ায় ১৭ রানের মধ্যেই সামিত প্যাটেল ও হ্যারি টেক্টরকে হারায় সিলেট। তৃতীয় উইকেটে ২৪ রানের জুটি গড়েন শান্ত ও জাকির হাসান। জাকির ৮ রান করে আউট হলেও শান্ত আরও কিছুটা পথ পাড়ি দেন। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ২৫ বলে ৬টি চারে ৩৩ রান করেন। ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন। বিপিএলে আজ দুই হাজার রান পূর্ণ করা সিলেট অধিনায়ক ১২ বলে ৩টি চারে ১৭ রান করেন।
জয় তুলে নেওয়ার বাকি কাজটুকু সারেন হাওয়েল ও বার্ল। ষষ্ঠ উইকেটে ৫৩ বলে ৫৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে সিলেটের দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত করেন এই দুই বিদেশি। হাওয়েল ২৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ৩০ ও বার্ল ৩১ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ঢাকার বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম ৩টি উইকেট নেন। ২টি উইকেট পান পাকিস্তানি লেগ স্পিনার উসমান কাদির।
এর আগে ব্যাটিং করা ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন সাইফ। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩২ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৪১ রান করেন। ২৯ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩৬ রান করেন নাঈম। সিয়াম আইয়ুব ১০ ও লাসিথ ক্রুসপুলে ১২ রান করেন। ব্যাটিং করা ঢাকার আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। সিলেটের পেসার রাজা ৩টি ও স্পিনার সামিত ২টি উইকেট পান। একটি করে উইকেট নেন নাঈম ও ম্যাচসেরা হাওয়েল।