বিপিএলে হারের রেকর্ড গড়ে বিদায় নিল দুর্দান্ত ঢাকা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে শুরু করে দুর্দান্ত ঢাকা। কিন্তু এবারের আসরে ঢাকার একমাত্র সাফল্য এই একটাই। টানা হারে এরই মধ্যে বিপিএলে অস্বস্তির রেকর্ডে নাম উঠে গেছে দলটির। হারের বৃত্তে বন্দী থাকা ঢাকা আজ ফরচুন বরিশালের বিপক্ষেও হেরে গেছে, যা তাদের টানা অষ্টম হার। বিপিএলের ইতিহাসে আর কোনো দল টানা আট ম্যাচ হারেনি। বিভিন্ন মালিকানায় টানা সাতটি করে ম্যাচ হারের অভিজ্ঞতা কয়েকবার হয়েছে সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৪০ রানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। আট ম্যাচে এটা তাদের চতুর্থ জয়। চার জয়ে আট পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চার নম্বরে আছে তামিম ইকবালের দল। নয় ম্যাচের আটটিতে হেরে প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেল ঢাকা। বাকি তিন ম্যাচে জিতলেও তাদের পয়েন্ট হবে আট। ইতোমধ্যে তিন দলের ১০ পয়েন্ট করে আছে। এ ছাড়া ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও সিলেক্স সিক্সার্সের মধ্যে যেকোনো এক দলের ১০ পয়েন্ট হবে, সেটা নিশ্চিত। ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও আট পয়েন্টের বেশি হবে। সেই হিসেবে ঢাকার আর কোনো সম্ভাবনা রইলো না।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা ফরচুন বরিশালের শুরুটা ভালো না হলেও সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে বড় সংগ্রহই গড়ে দলটি। এই দুজনের হাফ সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ১৮৯ রান তোলে বরিশাল। জবাবে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাটিং করা দুর্দান্ত ঢাকা ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ রানে অলআউট হয়।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় ৪১ রানের মধ্যেই তিনটি উইকেট হারায় ঢাকা। ফিরে যান সাব্বির হোসেন, নাঈম শেখ ও সাইফ হাসান। আগের ম্যাচের দুই হাফ সেঞ্চুরিয়ান নাঈম ১০ ও সাইফ ১২ রান করেন। এরপর ৩৯ রানরে জুটি গড়েন অ্যালেক্স রস ও এসএম মেহরব হোসেন। ২৯ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ২৮ রান করে মেহরব ফেরার পরে রস একাই যা লড়াই করেন।
১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়ার ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩০ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ইনিংস সেরা ৫২ রান করেন। শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে একটি করে চার ও ছক্কায় ১২ রান করেন কয়েক ম্যাচ পর অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়া ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ। শরিফুল ইসলাম ৭ রান করেন। সাইফউদ্দিন ৩টি এবং মিরাজ ও ওবেদ ম্যাকয় ২টি করে উইকেট পান। একটি উইকেট পান আকিফ জাভেদ।
এর আগে দলীয় ১৯ রানের মধ্যেই অধিনায়ক তামিম, আহমেদ শেহজাদ ও মুশফিকুর রহিমকে হারালেও চাপ বুঝতে হয়নি ফরচুন বরিশালকে। মুহূর্তেই চাপ সামাল দিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৮৫ বলে ১৩৯ রানের জুটি গড়েন সৌম্য ও মাহমুদউল্লাহ। বিপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ উইকেটে তৃতীয় সেরা জুটি এটা। ৪৭ বলে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৩ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ৪৮ বলে ৪টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন সৌম্য। ১০ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় হার না মানা ১৯ রান করেন শোয়েব মালিক। ঢাকার শরিফুল ও তাসকিন ২টি করে উইকেট নেন।