উভয়সঙ্কট অবস্থায় দিশাহীন বাংলাদেশ
টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় দুই দিন উইকেটে টিকে থাকাটা বাংলাদেশের জন্য কষ্টসাধ্য। অন্যভাবে বললে প্রায় অসম্ভব। আবার শ্রীলঙ্কা যে লক্ষ্য দিয়েছে, তা পাড়ি দেওয়া সমুদ্দুর পাড়ি দেওয়ার মতো। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসেই নেই এমন সফল রান তাড়া। সব মিলিয়ে উভয়সঙ্কটে থাকা বাংলাদেশ দিশা খুঁজে পাচ্ছে না। এই সময়ে ব্যাটিংয়ে নেমে হতাশা আরও বাড়িয়ে চলেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দ্বিতীয় সেশনের আগ পর্যন্ত৩৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ১৪ ও লিটন কুমার দাস শূন্য অপরাজিত আছেন। রানে জয়ের জন্য ৩৭৯ রান দরকার ঘরের মাঠের দলটির। এখনও বাকি চার সেশন, এই সময়ে বাকি থাকা রান তোলা অসম্ভব নয়। কিন্তু চার সেশন পার করতে সবচেয়ে জরুরি যে জিনিস, সেই উইকেট কেবল ৬টি আছে বাংলাদেশের হাতে। এর মধ্যে তিনজন বোলার। তাই না চাইলেও হারের শঙ্কার কথা ভুলে থাকা হচ্ছে না বাংলাদেশের।
সাতটি ক্যাচ ছাড়ার ইনিংসে ছয় হাফ সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কা রান তোলে ৫৩১। জবাবে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১৭৮ রানেই অলআউট বাংলাদেশ, প্রথম ইনিংসেই পিছিয়ে পড়তে হয় ৩৫৩ রানে। ৭ উইকেটে ১৫৭ রান তুলে শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করলে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১১। ৩২৮ রানে হারা সিলেট টেস্টেও বাংলাদেশকে একই লক্ষ্য দিয়েছিল লঙ্কানরা।
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ৩৭ রানেই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে হারায় বাংলাদেশ। সরে গিয়ে স্টাম্পের বল কাট করলে ভেঙে যায় তার স্টাম্প, ৩২ বলে ২৪ রান করে আউট হন তিনি। আগের ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করা জাকির হাসান বেশ বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে স্লিপে ধরা পড়েন, ৩৯ বলে ১৯ রান করেন তিনি।
এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হকের ব্যাটে কিছুটা প্রতিরোধ, কিন্তু ১০০ পেরনোর আগেই থামেন শান্ত। ৪৩ রানের জুটি গড়ার পর লাহিরু কুমারার বলে বোল্ড হন ৫৫ বলে ২০ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ওয়ানডের গতিতে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া মুমিনুল শেষ বেলায় দলকে হতাশ করেন। বিরতিতে যাওয়ার আগে শেষ ওভারে সুইপ করতে গিয়ে আউট হন ৫৬ বলে ৮টি চার ও একটি ছক্কায় ৫০ রান করা অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।