শেখ জামালকে গুঁড়িয়ে ১১ ওভারেই জিতল দুর্বার আবাহনী
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড, রানার্স আপ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এবারের আসরেও দল দুটি দারুণ ছন্দে। হার না মানা আবাহনী শীর্ষে, দুইয়ে শেখ জামাল। এমন দুটি দলের লড়াই জমবে, এমন ধরেই নেওয়া যায়। কিন্তু মাঠে দেখা গেল ঠিক উল্টো। আবাহনীর বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারলো না শেখ জামাল। ব্যাটে-বলে শাসন করে দাপুটে জয় তুলে নিয়ে শিরোপার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেখ জামালকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে আবাহনী। অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা দলটি এবারের আসরে কোনো ম্যাচ হারেনি। ১১ ম্যাচের সবকটি জিতে পয়েন্ট টেবিলের সবার ওপরে তারা। সমান ম্যাচে ৮টি জেতা শেখ জামাল আছে দুই নম্বরে। গ্রুপ পর্বের পথচলায় আবাহনী এতোটাই দুর্বার যে, সুপার লিগে দুই-একটি ম্যাচ জিতলেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে তাদের।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা শেখ জামাল শুরুতেই চেপে ধরেন আবাহনীর পেসাররা। দলীয় ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় দলটি, এরপর শুরু হয় উইকেট বৃষ্টি। ম্যাচসেরা শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, তানভীর ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে ২২.৪ ওভারে ৮৮ রানেই অলআউট হয় শেখ জামাল। জবাবে এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখের ব্যাটে ১০.২ ওভারেই ১০ উইকেটের জয় পায় আবাহনী। ২৩৮ বল হাতে রেখেই জিতে যায় তারা। ৫০ ওভারের ম্যাচ শেষ হয় মাত্র ৩৩ ওভারেই।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় তেড়েফুঁরেই ব্যাটিং করেন আবাহনীর দুই ওপেনার বিজয় ও নাঈম। ২২ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন বিজয়। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া নাঈম ৪০ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। শেখ জামালের শফিকুল ইসলাম, ইয়াসিন আরাফাত মিশু, মেহেদী হাসান সোহাগ, রবিউল ইসলাম রবিরা কোনো সম্ভাবনাই তৈরি করতে পারেননি।
এর আগে পুরো ইনিংস ধরে ধুঁকে যাওয়া শেখ জামালের মাত্র চারজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করেন, সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন সৈকত আলী। এ ছাড়া সাইফ হাসান ১৬, তৈবুর রহমান ১৪ ও ইয়াসির আলী রাব্বি ১৭ রান করেন। বাকি সাতজনের কেউ-ই ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। ৭ ওভারে ৩৫ রানে ৪টি উইকেট নেন ম্যাচসেরা শরিফুল। ৫ ওভারে ১৬ রানে ২টি উইকেট পান তাসকিন। ৪.৪ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন তানভীর। সাকিব ও মোসাদ্দেক একটি করে উইকেট পান।