নারী প্রিমিয়ার লিগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান
পুরুষদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সর্বশেষ আসরে একক আধিপত্য দেখায় আবাহনী। দুর্বার ছন্দে থাকা দলটি কোনো ম্যাচ না হেরেই জেতে চ্যাম্পিয়নের মুকুট। মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগে একই গল্প লিখলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো সালমা-আয়েশাদের দল।
সহজ হিসাব ছিল মোহামেডানের জন্য। জিতলেই শিরোপা নিশ্চিত, হারলেও থাকতো সুযোগ। এমন ম্যাচে তারা অবশ্য যদি, কিন্তুর জায়গা রাখেনি। বুধবার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে রুপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদকে হারিয়েই শিরোপা উৎসব করে মোহামেডান, ম্যাচটি তারা ৪৬ রানে জেতে।
গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ছিল রুপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদ। এক আসর পরই শিরোপা পুনরুদ্ধার করলো মোহামেডান। নারী প্রিমিয়ার লিগে এটা তাদের তৃতীয় শিরোপা। দিনের আরেক ম্যাচে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়ে রানার্স-আপ হয় আবাহনী।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে মোহামেডান। আয়েশা রহমান ও সোবহানা মোস্তারীর হাফ সেঞ্চুরির পর রুমানা আহমেদের লড়াকু ইনিংসে ৭ উইকেটে ২৪৯ রান তোলে দলটি। জবাবে ভালো শুরুর পরও হঠাৎ দিক হারিয়ে ৪৫.৫ ওভারে ২০৩ রানে অলআউট হয় রুপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদ। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা মোহামেডানের ভারতীয় পেসার দীশা দীপক কাসাতের তোপেই মূলত খেই হারায় তারা।
লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটি থেকে ৩৯ রান পায় রূপালী ব্যাংক। দ্বিতীয় উইকেটেও ভালো লড়াই করে তারা, এই জুটি থেকে আসে ৫৯ রান। কিন্তু এরপরই দিশার বোলিংয়ের সামনে দীশা হারায় রূপালী ব্যাংক। ১০৯ বলে ৪টি চারে ইনিংস সেরা ৫৪ রান করেন ফারজানা হক পিঙ্কি। ৪৬ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৪ রান করেন ইসমা তানজিম।
বিপর্য়য়ের মাঝেও লড়েন ফারজানা আক্তার লিসা, ৫১ বলে ৫টি চারে ৪৮ রান করেন তিনি। সাথি রানী বর্মনের ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। এই চারজনের বাইরে রূপালী ব্যাংকের আর কেউ দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। ১০ ওভারে ৪৪ রানে ৫টি উইকেট নেন ম্যাচসেরা দিশা। ১০ ওভারে ২৯ রানে রুমানার শিকার ৩ উইকেট। সাবেকুন নাহার ও ফাতেমা আক্তার একটি করে উইকেট পান।
এর আগে ব্যাটিং করা মোহামেডানের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন আয়েশা। ৮৮ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৭২ রান করেন তিনি। ৯১ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৮ রান করেন সোবহানা। ৪০ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৪০ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন রুমানা। এই তিনজই মূলত রান করেন। এ ছাড়া দিশা ১৫ ও শম্পা ১০ রান করেন। রূপালী ব্যাংকের নুপুর তানেশ্বর কোহালে ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান হাবিবা ইসলাম পিঙ্কি, ইসমা তানজিম ও পুজা চক্রবর্তী।