সিটিকে হারিয়ে আট বছর পর এফএ কাপ চ্যাম্পিয়ন ইউনাইটেড
আটে থেকে প্রিমিয়ার লিগ শেষ করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তারা দর্শকের সারিতে। ইউরোপা লিগে খেলাও নিশ্চিত নয়, এই আসরে খেলতে এফএ কাপের শিরোপা জেতার বিকল্প নেই। এমন লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ আবার দুর্বার ম্যানচেস্টার সিটি। সব হারানো ইউনাইটেডের পক্ষে বাজি ধরার সাধ্য কার! কিন্তু ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী এই লড়াইয়ে দেখা গেল অন্য ইউনাইটেডকে। টানা চতুর্থবার লিগ জিতে ইতিহাস গড়া ম্যান সিটিকে হারিয়ে এফএ কাপের শিরোপা জিতলো এরিক টেন হাগের শিষ্যরা।
শনিবার লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে এফএ কাপের ফাইনালে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যান সিটিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইউনাইটেড। পুরো মৌসুমজুড়ে বিবর্ণ থাকা রেড ডেভিলরা শেষটা রাঙালো শিরোপা উৎসব করে, ফুরালো দীর্ঘ অপেক্ষাও। আট বছর পর এফএ কাপের শিরোপা জিতলো ইউনাইটেড। শিরোপার সঙ্গে সঙ্গে আরও একটি প্রাপ্ত যোগ হলো তাদের খাতায়, ফাইনাল জয়ে আগামী মৌসুমে ইউরোপা লিগ খেলাও নিশ্চিত হলো ক্লাবটির।
কিছুদিন আগেই প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ঘরে তুলেছে সিটি। আট নম্বরে শেষ করা ইউনাইটেডের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান ছিল ৩১। এফএ কাপের ফাইনালে ইউনাইটেড সিটির বিপক্ষে সুবিধা করতে পারবে না, এমনই ধারণা ছিল সবার। এ ছাড়া এই আসরের ফাইনালের ইতিহাসও ছিল ইউনাইটেডের বিপক্ষে। এফএ কাপে নিজেদের শেষ পাঁচ ফাইনালের চারটিতেই হারে তারা। সব মিলিয়ে সিটিকেই চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ধরে নিয়েছিল সবাই।
এ ছাড়া ম্যচেও খো গেছে সিটির দাপট। বল দখলে রাখা থেকে শুরু করে আক্রমণ সাজানো, শট নেওয়া; সব দিক থেকেই এগিয়ে ছিল পেপ গার্দিওয়াল দল। ম্যাচে ৭৪ শতাংশ সময় বল নিজেদের দখলে রাখে সিটি। ইউনাইটেড নিজেদের পায়ে বল রাখতে পেরেছে কেবল ২৬ শতাংশ সময়। গোলমুখে শট নেওয়াতেই সিটি অনেক এগিয়ে। তাদের নেওয়া ১৯টি শটের ৪টি ছিল লক্ষে। ইউনাইটেড গোলমুখে ১১টি শট নেয়, ৫টি ছিল লক্ষ্যে। এসব ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকায় অবশ্য আফসোস নেই টেন হাগের শিষ্যদের, শেষ হাসি তো তারাই হেসেছেন।
প্রথম ১৫ মিনিটে কোনো দলই উল্লেখযোগ্য আক্রমণ সাজাতে পারেনি। বাকি ১৫ মিনিটে গতিময় খেলা হয়, ৩০তম মিনিটে গিয়ে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। আলেহান্দ্রো গারনাচোর উদ্দেশ্যে বল বাড়ান দিয়োগো দালোত। এ সময় ভুল করে বসেন ডিফেন্ডার ভার্দিওল, হেড করে গোলরক্ষকের ওপর বল সামনে বাড়ান তিনি। বক্সে এটা রীতিমতো উপহার ছিল গারনাচোর জন্য, সহজেই বল জালে জড়ান তিনি।
প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে অনেক পিছিয়ে থাকলেও আবারও গোলের ঠিকানা করে নেয় ইউনাইটেডই। ৩৯তম মিনিটে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে গারনাচো বক্সের মুখে ব্রুনো ফের্নান্দেসকে বল দেন। তার দারুণ পাস থেকে বল পেয়ে প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান ১৯ বছর বয়সী ইংলিশ ফরোয়ার্ড মাইনো। ৮৭তম মিনিটে জেরেমি দোকুর গোলে ব্যবধান কমানো সিটি বাকি সময়ে চেষ্টা করেও গোলের দেখা পায়নি।