টানা চতুর্থবার বঙ্গবন্ধু কাপ কাবাডির চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডির গত তিন আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, এবারও অভিন্ন লক্ষ্যে মিশন শুরু করেছিল স্বাগতিকরা। দাপুটে শুরুর পর বাংলাদেশ কেবল শাসনই করে গেছে, যা জারি থাকলো ফাইনালের শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত। অপ্রতিরোধ্য পারফরম্যান্স করা দলটি শিরোপার লড়াইয়েও প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে রাখলো। নেপালকে উড়িয়ে টানা চতুর্থবারের মতো টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতলো বাংলাদেশ।
সোমবার মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে ফাইনালে নেপালকে ৪৫-৩১ পয়েন্টে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে ঘরের মাঠের দলটি এগিয়ে ছিল ২৪-১০ পয়েন্টে। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে নেপাল, ব্যবধানও কমায়। কিন্তু বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। আসরটিতে সব সময় দাপট দেখানো বাংলাদেশ এবার অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো।
এবারের আসরে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই ছন্দে ছিল বাংলাদেশ। টানা জয়ে দুর্বার গতিতে শিরোপার পথে এগিয়ে গেছে আব্দুল জলিলের দল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৬৭-২২ পয়েন্টের বিশাল ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে ব্যবধানটা আরও বাড়ান আরদুজ্জামান-জিয়ারা, মালয়েশিয়াকে হারান ৭৩-২২ পয়েন্টে।
জয়ের মালা বড় করতে থাকা বাংলাদেশ তৃতীয় ম্যাচে ইন্দোনেশিয়াকেও উড়িয়ে দেয়, তুলে নেয় ৫৯-১৯ পয়েন্টের জয়। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে পোল্যান্ডকেও দাঁড়াতে দেয়নি বাংলাদেশ, জেতে ৭৯-২৮ পয়েন্টের ব্যবধানে। এই জয়ে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত হয় তাদের।
সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত হলেও পরের ম্যাচে একই নিবেদন ধরে রাখার কথা জানান কোচ, জানান গ্রুপ সেরা হওয়ার লক্ষ্যের কথা। সেটা করেও দেখায় বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে নেপালকে ৪৬-৩১ পয়েন্টে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয় তারা। সেমিতে থাইল্যান্ডকে ৪১-১৮ পয়েন্টে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট কাটে স্বাগতিকরা। আগে একবার দেখা হওয়া নেপালকে এখানেও পাত্তা না দিয়ে শিরোপা উৎসবে মাতে বাংলাদেশ।
২০২১ সালে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী আসরে কেনিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। পরের আসরেও একই গল্প, আবারও ফাইনালে কেনিয়ার স্বপ্ন ভেঙে চ্যাম্পিয়নের মুকুট জেতে তারা। ২০২৩ সালের আসরে চাইনিস তাইপেকে হারিয়ে টানা তৃতীয় শিরোপা ঘরে তোলে বাংলাদেশ। ফাইনালের ম্যাচসেরা হন বাংলাদেশের আরদুজ্জামান মুন্সী। টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন নেপালের ঘনশ্যাম রোকা মাগার।