সাকিব-মাহমুদউল্লাহর ফর্মে না থাকা দলে প্রভাব ফেলেছে, বলছেন তাসকিন
সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ; টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের কাছে আশা ছিল বাংলাদেশ দলের। অনেকেই জানিয়েছিলেন, অভিজ্ঞতা ভাগাভাগির পাশাপাশি তাদের পারফরম্যান্স দলের জন্য হতে পারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দুজনের কেউ-ই গুরুত্বপূর্ণ কিছু করতে পারেননি, উল্টো পুরো আসরজুরে থেকে গেছেন অনুজ্জ্বল। শুক্রবার দেশে ফিরে বিমানবন্দরে তাসকিন আহমেদ জানালেন, সাকিব-মাহমুদউল্লাহর ফর্মে না থাকা দলে প্রভাব ফেলেছে।
বিশ্বকাপ শুরুর বেশ আগেই যুক্তরাষ্ট্রে যায় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশটির বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারে তারা। তাতে শঙ্কা আরও বাড়ে বাংলাদেশের ভালো করা নিয়ে। যদিও জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা বাংলাদেশ তিনটি ম্যাচ জিতে ওঠে সুপার এইটে। এই পর্বে কোনো ম্যাচ জেতা হয়নি, আক্ষেপ-হতাশার কারণ হয়ে আছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি। যা নিয়ে এখনও সমালোচনা চলমান। এর মাঝেই আজ দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল।
বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে কথা বলা তাসকিন বলেন, 'দুজন সিনিয়রের অফ ফর্ম আমাদের দলে অবশ্যই প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু মাঠের বাইরে প্রভাব পড়েনি। কারণ, মাঠের বাইরে তারা সব সময়ই ভালো টিমম্যান। এই যে ৪৭ দিনের মতো এক সঙ্গে ছিলাম, সবার আচরণ খুব ভালো ছিল, সবাই এক সঙ্গে ছিলাম। মাঠের বাইরে সব তো ঠিকই ছিল।'
গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা ছন্দে না থাকলে তা দলে সমস্যা তৈরি করে, আর সবার মতো তাসকিনও ব্যাপারটি সহজেই বোঝেন। তবে পেছনে পড়ে থাকতে চান না তিনি, সমস্যা কাটিয়ে সামনে ভালো করার আশায় জাতীয় দলের ডানহাতি এই পেসার, 'আসলে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা ছন্দে না থাকলে ওই দলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আশা করছি দ্রুত সামনে এসব কাটিয়ে উঠে সামনে ভালো কিছু করব।'
সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা সাকিব এবার নিজের ছায়া ছিলেন। ব্যাটে-বলে তেমন কিছুই করতে পারেননি। ৭ ইনিংসে ১০৬.৭৩ স্ট্রাইক রেট ও ১৮.৫০ গড়ে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার রান করেছেন ১১১। করেছেন একটি হাফ সেঞ্চুরি, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে খেলেন ৬৪ রানের ইনিংস। সাকিব বল হাতেও ছিলেন বিবর্ণ। তার ম্যাচে তার শিকার ৩ উইকেট, পাঁচ ম্যাচে থেকেছেন উইকেটশূন্য।
দল থেকে বাদ পড়ে নিজেকে আবারও প্রমাণ করে ফিরে আসার গল্প লিখেছেন মাহমুদউল্লাহ। যেটাকে তার 'পুনর্জন্ম' বলা হচ্ছিল, ফিনিশার হিসেবে তার কাছ থেকে প্রত্যাশাও ছিল বেশ। কিন্তু ব্যর্থই থেকে গেছেন ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। ৭ ইনিংসে মাত্র ৯৪.০৫ স্ট্রাইক রেট ও ১৫.৮৩ গড়ে মাহমুদউল্লাহ রান করেছেন ৯৫। পাঁচ ম্যাচে করেছেন বোলিং, উইকেট পেয়েছেন একটি।