বিদ্রূপের শিকার হওয়া লাউতারোই আর্জেন্টিনার নায়ক
না, তিনি গঞ্জালো হিগুয়াইনের মতো পরপর তিন ফাইনালে মিস করেননি। উল্টো আর্জেন্টিনার সাম্প্রতিক সময়ের সব সাফল্য পাওয়া দলেই ছিলেন তিনি। তাও কেন লাউতারো মার্তিনেসকে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে এতদিন?
কথায় আছে, ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ ডাকলেও ভয় পায় ভয় পায়। আর্জেন্টিনা সমর্থকদের অবস্থা অনেকটা তেমনই। এক গঞ্জালো হিগুয়াইন যে যন্ত্রণা দিয়েছেন তাদের, আর কেউ সেটির পুনরাবৃত্তি করুক- সেটি তারা চান নি। নয়তো মেসির পর দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ গোল করা স্ট্রাইকারকে কেউ বিদ্রূপ করতে পারে!
সিরি আ'তে গোল্ডেন বুট জিতেছেন, যেটিকে বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন লিগগুলোর একটি বললেও ভুল হবে না। ইন্টারকে অধিনায়ক হয়ে জিতিয়েছেন দুটি লিগ শিরোপাও। এরপরও লাউতারোকে কেন কটু কথা শুনতে হলো? কারণ, বিশ্বকাপ।
২০২২ কাতার বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার একাদশে লাউতারোকে খেলালেন স্কালোনি। লাউতারো সৌদি আরবের বিপক্ষে গোলও পেলেন, কিন্তু অফসাইডে তা বাতিল। এরপর জায়গা হারালেন আলভারেজের কাছে। শেষ ষোলোতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের শেষ দিকে আর্জেন্টিনার জয়কে একেবারে নিশ্চিত করার জন্য সহজ দুই সুযোগ মিস করলেন। সে যাত্রায় বাঁচিয়ে দিয়েছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস আর রক্ষণভাগের বাকিরা।
তবে কোয়ার্টার ফাইনালে ডাচদের বিপক্ষে জয়সূচক পেনাল্টি শটটা এসেছে লাউতারোর পা থেকেই। ফাইনালে ৩-৩ থাকা অবস্থায় মিস করেছেন সহজ দুই সুযোগ। যার মধ্যে শেষটি তার মতো স্ট্রাইকারের জন্য দৃষ্টিকটুই। আর্জেন্টিনাকে আবারও টাইব্রেকারে এমিলিয়ানো মার্তিনেস বাঁচিয়ে দিয়ে জিতিয়েছেন বিশ্বকাপ। নাহলে হয়তো লাউতারোকে বসানো হতে হিগুয়াইনের জায়গায়, চড়াতে হতো শূলে।
আজ কোপা আমেরিকা ফাইনালের পর লাউতারোকে মাথায় তুলে রাখবেন আর্জেন্টিনা সমর্থকরা। বদলি নেমে ১১২ মিনিটে দারুণ এক ফিনিশে কেবল কোপা জেতানো গোলই করেননি লাউতারো, টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ৫ গোল করে জিতেছেন গোল্ডেন বুটও। নাম লিখিয়েছেন কিংবদন্তিদের তালিকায়। লাউতারোরা এভাবেই ফিরে আসেন!