এক নজরে তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
সিলেটে দুই দফায় বৈঠকের পর জাতীয় দলে ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে বিসিবির নির্বাচকদের কাছ থেকে সময় নিলেও অপেক্ষা দীর্ঘ করলেন না তামিম। দুই দিনের মধ্যেই জানিয়ে দিলেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, জাতীয় দলের আর ফিরছেন না তিনি। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার।
১৭ বছর আগে ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তামিমের। ২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি কেনিয়ার বিপক্ষে দেশের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেন দেশসেরা এই ব্যাটসম্যান। এই ফরম্যাটে তামিম শেষ ম্যাচ খেলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ঘরের মাঠে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে।
বাংলাদেশের জার্সিতে ২৪৩ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৪টি সেঞ্চুরি ও ৫৬টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩৬.৬৫ গড়ে ৮ হাজার ৩৫৭ রান করেছেন তামিম। তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান, যার নামের পাশে ৮ হাজারের বেশি ওয়ানডে রান আছে। রানের মতো সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরিতেও বাংলাদেশের মধ্যে সবার উপরে তামিম।
৭০ টেস্টের ১৩৪ ইনিংসে ১০টি সেঞ্চুরি ও ৩১টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩৮.৮৯ গড়ে ৫ হাজার ১৩৪ রান করেছেন তামিম। যা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছেন তিনি, হাফ সেঞ্চুরিতে সবার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে। বাংলাদেশের হয়ে তামিম সর্বশেষ টেস্ট খেলেন ২০২৩ সালের এপ্রিলে।
৭৮ টি-টোয়েন্টিতে একটি সেঞ্চুরি ও ৭টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ২৪.৬৫ গড়ে তামিমের রান ১ হাজার ৭৫৮ রান। যা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে চতুর্থ। সংক্ষিপ্ততম এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একমাত্র সেঞ্চুরিটি তামিমের। জাতীয় দলের হয়ে তিনি সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেন ২০২০ সালের মার্চে, এই ফরম্যাটকে বিদায় জানান ২০২২ সালের জুলাইয়ে।
অধিনায়ক তামিম
২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে দেশের হয়ে প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্ব করেন তামিম। নিয়মিত অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের চোটের কারণে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে নেতৃত্ব দেন তিনি। দুই বছর পর ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ মেলে। মাশরাফি বিন মুর্তজার চোটের কারণে ২০১৯ বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে নেতৃত্ব দেন তামিম।
পরের বছরই স্থায়ীভাবে ওয়ানডের অধিনায়কত্ব পান বাঁহাতি এই ওপেনার। মাশরাফি নেতৃত্ব ছাড়লে অধিনায়কত্ব পান তিনি। অধিনায়ক হিসেবে তিন বছরের পথচলায় দারুণ সফল ছিলেন তিনি। ৩৭টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়ে ২১টিতে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তামিম। অন্তত ৫টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে সাফল্যের মাপকাঠিতে বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক তিনি।