উইজডেনের বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে তাসকিন
২০২৪ সালটা স্বপ্নের মতো কেটেছে তাসকিন আহমেদের। বাংলাদেশের ডানহাতি এই পেসার তিন ফরম্যাটেই ছিলেন দারুণ ধারাবাহিক। ১৯.২৩ গড়ে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৬৩টি উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। যা বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ, বিশ্ব ক্রিকেটে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ। বল হাতে আলো ছড়ানোর স্বীকৃতি নতুন বছরের শুরুতেই পেলেন এই গতি তারকা। ক্রিকেটের বাইবেলখ্যাত উইজডেনের ২০২৪ সালের ওয়ানডের বর্ষসেরা একাদশে জায়গা হয়েছে তার।
ওয়ানডে ক্রিকেটের জন্য গত বছরটা অন্যরকম ছিল। এই ফরম্যাটে কোনো দলই বেশি ম্যাচ খেলেনি। ২০২৩ ওয়ানডের বিশ্বকাপের পর সব দলই গত বছরের জুনে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বিশ্ব আসরটি শেষ হতেই চলে আসে টেস্ট খেলার পর্ব। প্রিয় ফরম্যাটে বাংলাদেশও বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি, তিনটি সিরিজে মোট ৯টি ম্যাচ খেলে তারা।
বাংলাদেশের সবগুলো ম্যাচ খেলা হয়নি তাসকিনের, তিনি খেলেন ৭টি ম্যাচ। এই সাত ম্যাচ দিয়েই নিজের উপস্থিতি দারুণভাবে জানান দেন বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণের এই নেতা। সাত ম্যাচে ২৩.৯ গড় ও ৫.৩ ইকোনমিতে ১৪টি উইকেট নেন ২৯ বছর বয়সী এই পেসার। প্রতিপক্ষ ওপেনারদের দ্রুত ফেরানোর পাশাপাশি মাঝের ওভারে চাপ সৃষ্টি করা এবং ডেথ ওভারে উইকেট নিয়ে দলকে ভরসা দিয়েছেন তাসকিন।
উইজডেনের ওয়ানডে বর্ষসেরা একাদশে আছে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের আধিক্য, দেশটির তিনজন ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছেন। পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তানের দুজন করে ক্রিকেটার আছেন। বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের একজন করে ক্রিকেটারকে একাদশে রাখা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো ক্রিকেটার নেই একাদশে। গত বছর ভারত ও নিউজিল্যান্ড মাত্র ৩টি করে ওয়ানডে খেলেছে।
উইজডেনের ২০২৪ সালের ওয়ানডে বর্ষসেরা একাদশ: সাইম আইয়ুব (পাকিস্তান), পাথুম নিসাঙ্কা (শ্রীলঙ্কা), কেসি কার্টি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), কুশল মেন্ডিস (শ্রীলঙ্কা), আজমতউল্লাহ ওমরজাই (আফগানিস্তান), লিয়াম লিভিংস্টোন (ইংল্যান্ড), শারফেন রাদারফোর্ড (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ভানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা), শাহিন শাহ আফ্রিদি (পাকিস্তান), আল্লাহ গাজানফার (আফগানিস্তান), তাসকিন আহমেদ (বাংলাদেশ)।
বর্ষসেরা একাদশে থাকা ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স
সাইম আইয়ুব (পাকিস্তান)
ব্যাটিং: ৬৪.৪ গড়ে ৫১৫ রান, স্ট্রাইক রেট: ১০৫.৫
বোলিং: ২৭.৮ গড়ে ৫ উইকেট, ইকোনমি রেট: ৪.৬
পাথুম নিসাঙ্কা (শ্রীলঙ্কা)
ব্যাটিং: ৬৩.১ গড়ে ৬৯৪ রান, স্ট্রাইক রেট: ১০৬.৪
কেসি কার্টি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
ব্যাটিং: ৬২.২ গড়ে ৫৬০ রান, স্ট্রাইক রেট: ৮৮.১
কুশল মেন্ডিস (শ্রীলঙ্কা)
ব্যাটিং: ৫৩.০ গড়ে ৭৪২ রান, স্ট্রাইক রেট: ৯০.৬
আজমতউল্লাহ ওমরজাই (আফগানিস্তান)
ব্যাটিং: ৫২.১ গড়ে ৪১৭ রান, স্ট্রাইক রেট: ১০৫.৬
বোলিং: ২০.৫ গড়ে ১৭ উইকেট, ইকোনমি রেট: ৪.৯
লিয়াম লিভিংস্টোন (ইংল্যান্ড)
ব্যাটিং: ৫৭.২ গড়ে ২৮৬ রান, স্ট্রাইক রেট: ১৩৩.০
বোলিং: ৬১.৫ গড়ে ৪ উইকেট, ইকোনমি রেট: ৭.৭
শারফেন রাদারফোর্ড (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
ব্যাটিং: ১০৬.৩ গড়ে ৪২৫ রান, স্ট্রাইক রেট: ১২০.১
বোলিং: ৬৫.০ গড়ে ২ উইকেট, ইকোনমি রেট: ৯.৪
ভানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)
বোলিং: ১৫.৬ গড়ে ২৬ উইকেট, ইকোনমি রেট: ৫.৪
ব্যাটিং: ১৭.৪ গড়ে ৮৭ রান, স্ট্রাইক রেট: ১০১.২
শাহিন শাহ আফ্রিদি (পাকিস্তান)
বোলিং: ১৭.৬ গড়ে ১৫ উইকেট, ইকোনমি রেট: ৫.১
আল্লাহ গজনফর (আফগানিস্তান)
বোলিং: ১৩.৬ গড়ে ২১ উইকেট, ইকোনমি রেট: ৪.১
তাসকিন আহমেদ (বাংলাদেশ)
বোলিং: ২৩.৯ গড়ে ১৪ উইকেট, ইকোনমি রেট: ৫.৩