বরিশালকে হারিয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংস
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/01/ctg.jpg)
প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে আগেই, চিটাগং কিংসের জন্য ম্যাচটি ছিল সেরা দুই নিশ্চিত করার। এমন ম্যাচে প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল হওয়ায় চিটাগং হয়তো কঠিন লড়াই-ই আশা করেছিল। দুর্বার ছন্দে থাকা তামিম ইকবালের দল প্লে-অফ নিশ্চিত করা ছাড়াও নিজেদের নিয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এমন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে চাপ কাজ করারই কথা। কিন্তু ব্যাটে-বলে দাপট দেখানো চিটাগং কোনো চাপ-ই নিলো না, উল্টো বরিশাল চাপে পড়ে মেনে নিলো তৃতীয় হার।
শনিবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে বরিশালকে ২৪ রানে হারিয়েছে চিটাগং। এই জয়ে সেরা দুই থাকা নিশ্চিত হলো তাদের। অর্থাৎ, প্রথম কোয়ালিফায়ারে লড়বে তারা। ওই ম্যাচেও তাদের প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল। ১২ ম্যাচে নয় জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বরিশাল। আট জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বর দল হলো চিটাগং। রংপুরেরও ১৬ পয়েন্ট, তবে চিটাগংয়ের চেয়ে তারা রান রেটে পিছিয়ে। প্লে-অফে ওঠা চতুর্থ দল খুলনা টাইগার্স।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা চিটাগং কিংসের প্রায় সব ব্যাটসম্যানই রানের দেখা পেয়েছেন। ঝড় তুলে দুর্বার ইনিংস খেলেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া পারভেজ হোসেন ইমন। অবদান রাখেন গ্রাহাম ক্লার্ক, হায়দার আলী, শামীম হোসেন পাটোয়ারীরাও। এ কজনের ব্যাটে ৪ উইকেটে ২০৬ রান তোলে চিটাগং। জবাবে ডেভিড মালানের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরির পর মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত লড়াইয়েও জিততে পারেনি বরিশাল। তামিমের দলের ইনিংস থামে ৭ উইকেটে ১৮২ রানে।
লক্ষ্য তাড়ায় ১৩ রানের মধ্যেই ফিরে যান তামিম ও তাওহিদ হৃদয়। এই চাপ কাটে মালান ও মুশফিকুর রহিমের ৫৩ জুটিতে। ২২ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২৪ রান করে বিদায় নেন মুশফিক। এরপর জুটি হয় মালান ও মাহমুদউল্লাহর। এই জুটি থেকে আসে ২৬ বলে ৫৬ রান। এই জুটিতে বেশি অবদান রাখা মালান ৩৪ বলে ৫টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৬৭ রান করে আউট হন। এরপর মূলত মাহমুদউল্লাহই লড়েছেন, শেষ দিকে চেষ্টা করেছেন জেমস ফুলারও। তবে তাদের লড়াই যথেষ্ট হয়নি। মাহমুদউল্লাহ ২৬ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় অপরাজিত ৪১ রান করেন। ফুলার ১১ বলে ১৮ রান করেন। চিটাগংয়ের বিনুরা ফার্নান্দো ও আলিস আল ইসলাম ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ ও আরাফাত সানি।
এর আগে চিটাগংয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন পারভেজ ইমন, দাপুটে ব্যাটিংয়ে ছক্কার ফুলঝুরি সাজান তিনি। বাঁহাতি তরুণ এই ওপেনার ৪১ বলে একটি চার ও ৮টি ছক্কায় ৭৫ রান করেন। এবারের আসরে এটাই তার সেরা ইনিংস। আরেক ওপেনার খাওয়াজা নাফে ২২ রান করেন। ২১ বলে ২৬ রান করেন গ্রাহাম ক্লার্ক। শেষ দিকে রান বাড়িয়ে নেওয়া হায়দার ২৩ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৪২ ও শামীম পাটোয়ারী ১২ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। বরিশালের তাইজুল ইসলাম ২টি এবং এবাদত হোসেন ও মোহাম্মদ নবি একটি করে উইকেট নেন।