চিটাগংকে হারিয়ে ফাইনালে তামিমের বরিশাল
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/03/hridoy.jpg)
শেষ দিকে বল হাতে দাপট দেখালেন ফরচুন বরিশালের পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আলী। বিপিএল অভিষেকেই তুলে নেন ৫ উইকেট। এর আগে ছড়ি ঘোরান কাইল মেয়ার্স, রিশাদ হোসেনরাও। তবু শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে কিছুটা স্বস্তি ফেরান পারভেজ হোসেন ইমন। এরপর ঝড় তুলে দুর্বার ইনিংস খেলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। কিন্তু বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় চিটাগং কিংসের সংগ্রহ বড় হয়নি। যা পাড়ি দিতে তেমন বেগই পেতে হয়নি ফরচুন বরিশালকে। ম্যাচসেরা তাওহিদ হৃদয়ের সময় উপযোগী ইনিংসের সঙ্গে ডেভিড মালানের সাবলীল ব্যাটিং দাপুটে জয়ে ফাইনালে উঠে গেছে তামিম ইকবালের দল বরিশাল।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংসকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো আসরটির ফাইনালে উঠলো তারা। আজকের ম্যাচে হেরে যাওয়া চিটাগং ফাইনালের টিকেট কাটার আরেকটি সুযোগ পাচ্ছে। এলিমিনেটরে জয় পাওয়া খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে লড়বে তারা।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা চিটাগংয়ে পক্ষে কেবল ইমন ও শামীম রান করেছেন। ব্যাটিং করা বাকি সাত জন উইকেটে গেছেন আর ফিরেছেন, দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি কেউ-ই। শামীমের ইনিংসের সুবাদে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান তোলে চিটাগং। জবাবে অধিনায়ক তামিমের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়ে ১৭.২ ওভারে বরিশালকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান হৃদয় ও মালান। ১৬ বল হাতে রেখে জেতে চ্যাম্পিয়নরা।
লক্ষ্য তাড়ায় তাড়াহুড়ো করেনি বরিশাল। হৃদয় দ্রুত রান তুললেও তামিম ছিলেন ঠান্ডা মেজাজে। এরপরও অবশ্য বরিশালের অধিনায়ক ইনিংস বড় করতে পারেননি। দলীয় ৫৫ রানে খালেদ আহমেদকে পুল করতে গিয়ে খাওয়াজা নাফের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এর আগে ২৬ বলে ৪টি চারে ২৯ রান করেন তামিম। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৫২ বলে ৯৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জেতান হৃদয় ও মালান।
ব্যাট হাতে দুঃসময়ে থাকা হৃদয় আজ অসাধারণ শটে ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন। গত কয়েক ম্যাচ ধরে বরিশালের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনের দায়িত্ব সামলানো ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৫৬ বলে ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ৮২ রান করেন। চলতি বিপিএলে এটাই তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। দারুণ ছন্দে থাকা মালান ২২ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় হার না মানা ৩৪ রান করেন। বরিশালের যাওয়া একমাত্র উইকেটটি নেন খালেদ আহমেদ।
এর আগে চিটাগংয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন শামীম। আসরজুড়ে আলো ছড়িয়ে আসা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪৭ বলে ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৯ রান করেন। চিটাগংয়ের হয়ে দুই অঙ্কের রান করা বাকি ব্যাটসম্যান ইমন, ৩৬ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৬ রান করেন। আগুনে বোলিং করা মোহাম্মদ আলী ৪ ওভারে ২৪ রানে ৫টি উইকেট নেন। ৪ ওভারে ২৭ রানে ২ উইকেট পান কাইল মেয়ার্স। একটি করে উইকেট পান ইবাদত হোসেন ও রিশাদ হোসেন।