ডিআরএস ও স্টাম্প মাইক কাণ্ডে শাস্তি হচ্ছে না কোহলিদের
এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দিয়ে ডিন এলগারকে আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার। কিন্তু ডিআরএস নিয়ে বেঁচে যান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক। বিশ্বাস হচ্ছিল না আম্পায়ারের, মানতে পারেননি ভারতীয় ক্রিকেটাররাও। অবিশ্বাস প্রকাশ করা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, লোকেশ রাহুলরা। অধিনায়ক কোহলি তো স্টাম্প মাইকের কাছে গিয়ে ক্ষোভ ছাড়েন। ক্রিকেট মাঠে এমন আচরণ অশোভন দেখালেও এই ঘটনায় শাস্তি হচ্ছে না কোহলিদের।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কেপ টাউন টেস্টে স্টাম্প মাইক কাণ্ডে ভারতীয় দলকে আনুষ্ঠানিক অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে না। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো তাদের খবরে জানিয়েছে, বিতর্কিত ঘটেনা নিয়ে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে আলোচনা করেছেন আইসিসির ম্যাচ অফিসিয়ালরা। কিন্তু আচরণবিধি ভঙ্গের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।
সাত উইকেটে হেরে সিরিজ খোয়ানোর টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে এই বিতর্কের জন্ম। ২১তম ওভারে একটি রিভিউকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। অশ্বিনের বলে ডিন এলগারকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস। রিভিউয়ে দেখা যায়, বল লাইনে পিচ করে এলগারের হাঁটুতে লেগেছে। যা দেখে আউটই মনে হচ্ছিল। কিন্তু বল ট্র্যাকিংয়ের শেষ ধাপে দেখা যায়, বলটি স্টাম্পের ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছে।
ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য মনে হয় আম্পায়ার ইরাসমাসের কাছে। তিনি বলে ফেলেন, 'এটা তো অসম্ভব।' তার এমন মন্তব্য ধরা পড়ে স্টাম্প মাইকে। ভারতীয় ওপেনার লোকেশ রাহুল বলেন, '১১ জনের বিপক্ষে যেন গোটা দেশ খেলছে।' ব্রডকাস্টার সুপারস্পোর্টের উদ্দেশ্যে অশ্বিন বলে ওঠেন, 'জয়ের জন্য অন্য কোনো ভালো পথ বের করো, সুপারস্পোর্ট।'
রাহুল, অশ্বিনদের এসব কথা স্টাম্প মাইকে শোনা গেছে। কথা যেন স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, সেটা নিশ্চিত করতে কোহলি স্টাম্পের দিকে মুখ নিচু করে বলেন, 'তোমাদের দলের দিকে মনোযোগ দাও বল উজ্জ্বল করার সময়। শুধু প্রতিপক্ষের দিকে খেয়াল রাখলে চলবে না। সব সময় শুধু লোকজনকে ধরার চেষ্টা।' এমন সব মন্তব্যের কারণে কোহলিদের শাস্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু আনুষ্ঠানিক অভিযোগ না আনায় বেঁচে গেলেন তারা।